বুধবার তাদের সঙ্গী অবস্থান স্পষ্ট করে ইঙ্গিত দিয়েছে চলতি নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূলকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু বৃহস্পতিবার উল্টো সুর শোনা গিয়েছে বামেদের গলায়। এদিন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় তৃনমূলকে কখনই সমথন নয়।‘ বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘মিট দি প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বার বার বলেছি, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি বা তৃণমূল কেউই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে ওই দুই দল মিলেই সরকার গড়তে পারে। তাই মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান তৃণমূল, বিজেপি দু’দলই যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। কারণ, বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার দুই পিঠ। এখন এমন প্রশ্ন, কতকটা কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু যদি এমন পরিস্থিতি আসে তা হলে আমরা দু’পক্ষের থেকেই দূরত্ব বজায় রাখব।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছিলেন, তাঁর যুদ্ধ বিজেপি-র বিরুদ্ধে আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্নে বিজেপি ও আরএসএস-এর অবদানের কথা সবাই জানেন। আর বিজেপি পরিচালিত হয় নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরের নির্দেশে। তাই এই দুই শক্তিকে একজোট হয়ে ৫০ শতাংশ আসনও জিততে দেওয়া যাবে না। তাই আমাদের লক্ষ্য এই শক্তিদের পরাস্ত করা।’’
প্রসঙ্গত, বুধবার একই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মিট দি প্রেস অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘‘পলিটিক্স ইজ দি আর্ট অফ পসিবিলিটিজ।’’ সঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘এমনও হতে পারে সংযুক্ত মোর্চা যখন নবান্ন দখল করতে যাচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাঁচার জন্য সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গী হল। বা সংযুক্ত মোর্চার কাছে আবেদন জানাল।’’ তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তা হলে কি ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি-কে রুখতে সংযুক্ত মোর্চা ও তৃণমূলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে? দলের অবস্থান স্পষ্ট করে সূর্যকান্ত কিন্তু অধীরের মন্তব্যে সায় দেননি। বরং তাঁদের লড়াই যে বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।