তৃণমূলে এখন মুষল পর্ব শুরু হয়েছে। একের পর এক নেতা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেসুরো। বেশ কয়েকজন দলবদলের খেলায় মেতেছেন। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শুভেন্দু অধিকারীও দল ছাড়বেন কি না তা নিয়ে দোটানায়। এর মধ্যে ফেসবুকে টাইম ফর প্যাক-আপ লিখে জল্পনা বাড়িয়ে ছিলেন মমতার দীর্ঘদিনের সৈনিক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনিও কি দল ছাড়ছেন, এমন গুঞ্জনের মধ্যেই রাজ্যের সরকারি কমিটিতে বড় পদ পেলেন তৃণমূল নেতা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে পরিবহণ দফতরের একটি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল দফতরের কর্মীরা স্বাস্থ্যসাথী-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না খতিয়ে দেখা। এই কমিটিতে রয়েছেন ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টরেটের ডেপুটি ডিরেক্টর, রাজ্য পরিবহণ অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সচিব এবং পরিবহণ সংস্থার বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা। কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে ডিপি বদলে লিখেছিলেন, প্যাক-আপ। তারপরি তাঁকে ঘিরে জল্পনা বাড়ে।
আরও পড়ুন ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল’, শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপে তৃণমূলে ছন্দপতন
এদিকে, সদ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ করেছেন নন্দীগ্রামের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পরিবহণ-সহ শুভেন্দুর ছেড়ে দেওয়া তিনটি দফতরই নিজের হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর পদ সামলেছেন মদন মিত্র। পরিবহণ দফতরের কাজকর্ম থেকে শুরু করে আমলা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। কাজকর্ম হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বসানো হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে বিরোধীদের দাবি, দলবদল রুখতেই মদন মিত্রকে সরকারি কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন