তৃতীয়বারের জন্য কলকাতা পুরনিগমের ক্ষমতায় তৃণমূল। বিপুল এই জয়কে 'গণতন্ত্রের জয়' বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয়স্তরেরও এই জয় প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল উন্নয়নের যে দাবি করেছে তা চোখে দেখা গিয়েছে, তাই মানুষ জোড়া-ফুলের উপর আস্থা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বলেছেন মমতা?
ভোটের ফল গণনার এক ঘন্টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এবার কলকাতাবাসী তৃণমূলেই ভরসা রেখেছেন। ১৬টি বোরোই তৃণমূলের দখলে। বেলা বাড়তেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উৎসাহী তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সেখানেই ওঠে খেলা হবে স্লোগান। চলে মিষ্টিমুখ। ওড়ে সবুজ আবীর।
বেলা ১২টা বেজে পাঁচ মিনিট নাগাদ নবান্নের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ভিকট্রি চিহ্ন দেখান নেত্রী। বলেন, 'গণ উথসবে মানুষের জয়। এটাই মানুষ আশা করেন। সেটাই হয়েছে। আমরা মা, মাটি মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা মাথা নত করে ,আরও নমনীয় হয়ে মানুষের উন্নয়নে কাজ করব।'
এই জয় কী জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে? জবাবে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'এই ভোটে সর্বভারতীয় দল হিসাবে পরিচিত বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম লড়েছিল। কিন্তু মানুষের রায়ে ওরা পরাজিত। কলকাতা গোটা দেশকে পথ দেখায়। উন্নয়নের কাজে এই গণ রায় আমাদের সাহায্য করবে।'
কেন ফের কলকাতাবাসী তৃণমূলেই আস্থা রাখলো? মমতার উত্তর, 'আমরা ভূমিপুত্র। মাটিতে দাঁড়িয়ে কাজ করি। যা করি তাই বলি। কলকাতা কত সুন্দর হয়েছে তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। তাই জিতেছি।'
আগামী ২৩ ডিসেম্বর পুরবোর্ড গঠন নিয়ে দলীয়স্তরে তৃণমূলের বৈঠক হবে দুপুর তিনটেতে মহারাষ্ট্র নিবাস হলে। ডাকা হবে দলের জয়ী প্রার্থীদের। জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন