সোমবার একগুচ্ছ কর্মসূচিকে সামনে রেখে নন্দীগ্রামে পথে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ কিমি রাস্তা রোড শো করেন তিনি। তারপর নন্দীগ্রামে জনসভা করেন তিনি। পাশাপাশি, ঠাকুরচকেই একটি সভা করেন। এরপর দুপুর দুটোর সময় তিনি বয়াল-২ তে একটি সভা করেন। শেষ সভা তিনি করবেন বিকেল ৩.৩০ নাগাদ আমদাবাদ ১ পঞ্চায়েতের আমদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। এদিন নিমতা-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সব মৃত্যুই দুঃখজনক। বাংলায় কিছু হলে অমিত শাহ ট্যুইট করেন। অমিত শাহ বলছেন বাংলার কী অবস্থা? আর উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে কী হচ্ছে? সে বেলা অমিত শাহ চুপ কেন? হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপি গুণ্ডামি করছে।'
তিনি বলেন, ‘বাংলায় আমরা মৃত্যুকে ভালোবাসি না। কিন্তু একটা মৃত্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে বলছে দেখো বঙ্গাল কা কেয়া হাল হ্যা, আমি জানতে চাই ইউপি কা কেয়া হাল হ্যা, হাথরাসকা কেয়া হাল হে, এমপিকা কেয়া হাল হ্যা।“
বর্তমানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কমিশনের হাতে, কিন্তু সেখানে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির হাতে খুন হচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন ঘাসফুল শিবিরের সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, 'কমিশন দেখছে আইনশৃঙ্খলা, এই ক’দিনে আমাদের তিনজন কর্মী খুন হয়েছে বিজেপির হাতে, বিজেপির একজন সুইসাইড করেছিল কোচবিহারে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তা দেখা গেছে, তা নিয়ে ১০ কিমি মিছিল করল, আমাদের ক্ষেত্রে কোনও বিচার হল না
তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপি ভুয়ো কবর ছড়াচ্ছে।‘ এদিকে, এদিন কুরুক্ষেত্র নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ প্রচার মমতা বনাম শুভেন্দু। এদিকে, রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এলে নন্দীগ্রামে সিএমও করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রামে আন্দোলনের ভূমিকন্যার বাড়িও বানাবেন বলে জানিয়েছেন।
ভোট প্রচারে পিছিয়ে নেই তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীও। তিনিও বয়ালে যান সকাল ১০.৩০ নাগাদ। সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনি সভা করেন৷ এরপর লাগাতার সভা করবেন ভেটুরিয়া, জয়কালী ও ঘোলেপুকুরে। ফলে নন্দীগ্রামের দুই প্রান্তে দুটি ভিন্ন সময়ে লাগাতার প্রচার সমাবেশ চালিয়ে যাবেন দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার জন্যে নেওয়া হয়েছে ব্যপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।