পুরভোটের আগে গত কয়েক মাস বার বার দলীয় কোন্দল ফুটে উঠেছিল তৃণমূলের ঘরে। সেই কোন্দল সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। যা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল জোড়াফুল শিবিরকে। দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রও। এবার নাম না করে মদনকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, বেরিয়ে যেতে চাইলে যেতে পারেন।
Advertisment
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের ইস্যুতে খড়গহস্ত হন। মদন মিত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র নেতারা যেভাবে বার বার প্রকাশ্যে মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা। এদিন তিনি নাম না করে বলেন, দলের নিয়ম না মানলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। তার পর শোকজ। না শুনলে দল সাসপেন্ডের পথে হাঁটবে।
তিনি বলেছেন, "দলের নির্দেশ যারা মানবেন না তাঁদের বিষয়টা দেখবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথমে অ্যালার্ট করব। তার পর শোকজ করব। দুবারের পর সোজা সাসপেন্ড করব। সে যে বড় নেতাই হোক। আমি কত বড় হলাম, কত বড় কেউকেটা হলাম, উল্টোপাল্টা বলে ভাইরাল হলাম, এটা দল সহ্য করবে না। পার্টি এত দুর্বল নয়। দু-তিনজনকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। আমি কাদের কথা বলছি তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তাঁদের শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।"
মমতা আরও বলেছেন, "আর যদি মনে করেন আপনি জিতে পার্টিকে অনেক কৃতজ্ঞ করেছেন, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারেন, পার্টির দরজা খোলা আছে। সারাক্ষণ মিডিয়ায় বিবৃতি দিচ্ছেন, বার বার বলা হচ্ছে করবেন না। তাও করছেন। এক লক্ষ কর্মী ভাল কাজ করবে একজন খারাপ করবে, সেই খারাপটা আমরা নেব না। তৃণমূল কংগ্রেস দল করলে একটা আদর্শ, মূল্যবোধ নিয়ে করতে হবে।"
এদিন মমতার নিশানা ছিল মদন মিত্রের দিকে তা তিনি নিজের বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। আগেও ফেসবুক লাইভে এসে দল নিয়ে মন্তব্য করেছেন মদন মিত্র। তার জন্য তাঁকে নেত্রী ভর্ৎসনাও করেছেন। এবার শেষ সুয়োগ দিলেন। না শুনলে সাসপেন্ড করা হতে পারে কামারহাটির বিধায়ককে।