হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে মৃত তরুণীর দেহ বলপূর্বক দাহ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যার জেরে নিন্দায় সরব গোটা দেশ। যোগী প্রশাসনকে তুলোধোনা করতে ময়দানে নেমেছে বিরোধী দলগুলিও। বৃহস্পতিবারও হাথরাসে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। কংগ্রেস, সপা-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিন্দায় সরব হয়ে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, "হাথরাসের পাশবিক ও লজ্জাজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। মৃতার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা রইল। আরও লজ্জার বিষয়, যেভাবে পরিবারের অমতে জোর করে মৃতার দেহ দাহ করেছে পুলিশ তাতে ভোটব্যাহ্কের রাজনীতি করা ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে দিয়েছে।" তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গর্জে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইট করে লিখেছেন, "হাথরাসের নির্যাতিতা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারল না, আর বিজেপি সরকার তাঁকে সম্মানের সঙ্গে মরতেও দিল না। একজন মাকে তাঁর সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখতে না দেওয়া পাশবিক আচরণের শামিল। নারীশক্তির উন্নয়ন ও বেটি বাঁচাও বেটি পড়াওয়ের নামে এটাই হল বিজেপি সরকারের স্বরূপ।"
আরও পড়ুন “আমরা দলিত, এটাই আমাদের অপরাধ”
এদিকে, সংবাদসংস্থা এএনআইকে হাথরাসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর জানিয়েছেন, আলিগড় হাসপাতাল থেকে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়েছেন তাতে ধর্ষণের উল্লেখ নেই। তিনি বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকরা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করছে না। ফরেনসিক রিপোর্টের পরই নিশ্চিত জানাতে পারবেন তাঁরা।”