কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডি-র। যা নিয়ে ভবানীপুরে কর্মিসভায় গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মামলা কেন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোট ঘোষণা হলেই কেন এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বুধবার প্রথম দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কর্মিসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মমতা।
Advertisment
এদিনে বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, "অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কেস থাকলে প্রমাণ করুক। দিল্লিতে কেন বার বার ডাকবে! এরা কংগ্রেস, মুলায়ম যাদব, শরদ পওয়ারকেও এজেন্সি দিয়ে জব্দ করেছে। আমাদের লোকের বিরুদ্ধে সবরকম তদন্ত করা যাবে, আর ওঁদের লোকের বিরুদ্ধে আমাদের এজেন্সি তদন্ত করলেই, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না, গ্রেফতার করা যাবে না। কেন করা যাবে না, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র না কি?"
মমতা এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন। নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা। এর আগেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিন দুই আগে দিল্লিতে ইডি-র দফতরে ৯ ঘণ্টা জেরা করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন বিজেপিকে ছত্রে ছত্রে সেই নিয়ে আক্রমণ করেন মমতা।
এদিন চেতলার কর্মিসভায় মমতা বলেন, "নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম আছে, আসল চোরের নাম নেই।" মমতার কটাক্ষ, "পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে জব্দ করতেই ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে দিল্লির কেন্দ্র সরকার।" মুখ্যমন্ত্রী এদিন কর্মিসভায় বলেছেন, ১০ তারিখ শুক্রবার, গণেশ চতুর্থীর দিন তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। তৃণমূল নেতা বৈশ্ব্যানর চট্টোপাধ্যায়কে নিজের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বেছে নিয়েছেন মমতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন