দলের ঝগড়ুটে মহিলাদের বুথ এজেন্ট করব। চুঁচুড়ায় সাফ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজেপির চোখরাঙানির ভয়ে নন্দীগ্রামে অনেক বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। পয়লা এপ্রিল দিনভর এই অভিযোগ করে এসেছে শাসক দল। সোমবার তৃতীয় দফা ভোটের আগে চুঁচুড়া থেকে ফের একবার দলের গদ্দার-মীরজাফরদের আক্রমণ করে নেত্রীর নির্দেশ, 'কোনও পরিস্থিতিতে বুথ ছেড়ে পালানো যাবে না। বিজেপি বা তাদের মিলিটারি ভয় দেখাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে, এই সব বলে বুথ ছেড়ে পালাবার কোনও বাহানা চলবে না।'
একই সঙ্গে মমতা বলেন, 'অন্যরা না বসলে আমরা আমাদের কন্যাশ্রীদের বসাব। যাঁরা বঙ্গজননী করেন, তাঁদের এজেন্ট করা হবে। সে রকম হলে দলের ঝগড়ুটে মহিলাদের সব বুথে এজেন্ট করে দেব। দেখি সাহস কত!'
চুঁচুড়ার সভা থেকেই ফের এদিন দিল্লির মসনদ দখলের হুঙ্কার ছাড়েন মমতা। নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দাবি করে মমতার দাবি, 'আগামী দিন খেলার মাঠে খেলতে হবে। বিজেপিকে মাঠ খালি করতে হবে। জোড়াফুলে ভোট দিতে হবে। দাঙ্গা করে পদ্মফুলটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। ওরা দাঙ্গা করলে আমাদের পাঙ্গা নিতে হবে। ইলেকশনের আগে আমার পা-টা চোট করে দিল। যাতে আমি বেরোতে না পারি। তাতে কী, মা-বোনেদের দু’টো পা দিয়ে আমি যা করার করব। আমি ওই একটা পায়ে যা করে বেড়াচ্ছি না, একটা পায়েই বাংলা জয় করবে, আর দুটো পায়ে তো আগামীদিনে দিল্লি জয়ও করতে হবে।‘
তৃতীয় দফা ভোটের আগে সোমবার ফের ম্যারাথন ভোট প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুঁচুড়া, চণ্ডীতলা, উত্তরপাড়া ও ভাঙড়ে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সভা থেকে এদিন ফের একবার বিজেপিতে তোপ দাগেন মমতা।
তাঁর দাবি, 'গুজরাতিরা বাংলার শাসন করবে না, বাঙালিরাই করবে। কেন ৮টি দফায় নির্বাচন? ২ দফাতেই নির্বাচন হয়ে যায়। কী চায় বিজেপি? চালাকি চলবে না। কোভিড হয়েছে বলে বিজেপি বন্ধ করতে চাইবে। কিন্তু এই চালাকি চলবে না, নির্বাচন যখন শুরু হয়েছে, তখন শেষ করতে হবে। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী দিয়েছি। সর্বত্র ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বলছে আয়ুষ্মান, আয়ুই নেই, তার আবার আয়ুষ্মান। এর পর রেশন দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে। তৃণমূলের সরকার হলে হাত খরচ পাবেন মা-বোনেরা।'