যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে প্রাক্তন সেনাকর্মী বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খোলা বিতর্কে রাজনীতি থামছেই না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া বিতর্কের জবাব দিলেও বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ, রবিবারই কলকাতায় এসেছে দিল্লির শিখ গুরুদ্বার কমিটির একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে এসে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি দেন। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট মনিন্দর সিং সিরসা। সেই প্রতিবাদ পত্র টুইট করে বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যা নিয়ে এদিন পাল্টা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে গুরুদ্বার কমিটি শিখ যুবক বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খুলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাতে লিখেছেন, এত বড় অপমানের বিচার চাই। এর জবাব দিতে মাঠে নেমেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরও। তারা টুইট করে জানিয়েছে, "বহু শিখ ভাই-বোন এ রাজ্যে থাকেন। অনেক শান্তিতে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। তাঁদের ভাবাবেগকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অযথা রাজনীতি হচ্ছে। যেখানে একজন বেআইনি অস্ত্রধারীকে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ঘটনাকে অন্য মোড়ক দিয়ে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে। ধর্মীয় ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সেটা করছে। বাংলা বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিখ পন্থদের যথেষ্ট সম্মান করে।"
এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, "অতিমারীর সময়ে রাজ্যে উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে রাজভবনকে ব্যবহার করছে বিজেপি। রাজ্যপাল দলীয় দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। বাংলা সবাইকে নিয়ে চলে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তারপরেও যেভাবে এটাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে তা কাম্য নয় কোনওভাবেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন