রাজ্যে নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পর একাধিক আইপিএস ও আইএএস-কে বদলি করেছে কমিশন। সরানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সহ নবান্নের গুড বুকে থাকা একাধিক আমলা থেকে পুলিশকর্তাকে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এই রদবদল। কমিশন সুত্রে এমনটাই খবর। যে তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে।
আর এই রদবদল নিয়ে প্রথম দফার ভোটের আগে কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। এদিনের দাঁতনের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ”অফিসার বদল করছেন এখন। বিজেপির কথা শুনে আপনারা পদক্ষেপ করছেন। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনারা বিমাতৃতসুলভ আচরণ করছেন। তবে জেনে রাখুন, যাঁদের বদলি করছেন, আর নতুন যাঁরা আসছেন, সবাই আমাদের লোক। এটা আপনারা জানেন না।”
এদিন সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির কমিশন হয়ে গিয়েছে। ওদের কথা শুনে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরপর যতই আমাকে শো-কজ কর, চিঠি ধরাও আমি লড়াই করবই। বিজেপি মানুষের খেলায় হেরে গিয়েছে, তাই এখন অফিসার বদলের খেলায় নেমেছে।‘ তাঁর আর খোঁচা, ‘অফিসার বদল যতই কর মাইনে তমার ৪১২।‘
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়া মানে আইনশৃঙ্খলার রক্ষক হয়ে উঠবেন কমিশন। ব্যাপক হারে চলবে প্রসাশনিক ও পুলিশ স্তরে রদবদল। এটাই রুটিন নিয়ম। কিন্তু রাজ্যে পুলিশের ডিজি-সহ নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের অপসারণ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ এমনটাই বিজেপি সুত্রের দাবি। তাই কমিশনের ওপর চাপ বাড়াতে সরাসরি আক্রমণের পথে হাঁটলেন তৃণমূল নেত্রী। এমনটাই গেরুয়া শিবিরের মত।
যদিও মমতার হুঙ্কারের পরেও এদিন যথেচ্ছ হয়েছে আইএএস-আইপিএস স্তরে রদবদল। প্রথম দফার ভোটের আগে ডিএম-এসপি পদে ব্যাপক রদবদল করল নির্বাচন কমিশন। রদবদল হয়েছে কলকাতা পুলিশের এসিপি ও ডিসিপি পদে। পাঁচ জনকে বদলি করল কমিশন ঝাড়গ্রামের ডিএম-এসপি বদল। বিরোধীদের পক্ষপাতিত্ব অভিযোগে এই রদবদল। এমনটাই সূত্রের খবর। বদল করা হল কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে পদেও। এছাড়া, কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ও এডিজি পশ্চিমাঞ্চলকে বদলি করেছে কমিশন। পাশাপাশি, ডায়মন্ডহারবারের এসপিকেও বদলি নির্বাচন কমিশনের।