করোনা আবহেই উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করতে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের উপর সার পেয়ে পদ্মবাগান উপড়ে ফেলতে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের অভাব-অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। গত লোকসভা নির্বাচনে এই আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কই ঘাসফুল থেকে মুখ ফিরিয়েছিল। তাই উত্তরবঙ্গে ঝুলি শূন্যই ছিল তৃণমূলের। একুশের লক্ষ্যে সেই আদিবাসীদেরই কাছে টানতে মরিয়া এবার জঙ্গলমহল সফরে যাচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে পা রাখছেন মমতা।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের মতো জঙ্গলমহলেও ঘাসফুল ফোটাতে ব্যর্থ শাসকদল। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো আদিবাসী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। পশ্চিম মেদিনীপুরে শুধুমাত্র ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জয় পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভায় এই দুই জেলায় ভরাডুবির পর এই প্রথম এখানে জেলা সফরে যাবেন মমতা। নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই সম্ভবত দুই জেলায় শেষ প্রশাসনিক সফর। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক কর্তা, পুর কর্তৃপক্ষ, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে রিভিউ বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গের মতো জঙ্গলমহলের এই দুই জেলায় নির্বাচনের আগে কল্পতরু হবেন মমতা। আদিবাসীদের জন্য ঢালাও প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন।
আরও পড়ুন “রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশ”, হাথরাস ইস্যুতে তোপ প্রতিবাদী মমতার
সম্প্রতি জুলাই মাসে জনগণের কমিটির আহ্বায়ক ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই নিজের জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে জঙ্গলমহলে মিলিয়ে যাওয়া ঘাসফুল ফোটানোর চেষ্টা করছেন ছত্রধর ও তাঁর দলবল। জঙ্গলমহলে শাসকদলের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় মানুষজন লোকসভার সময়েই সরব হয়েছিল। নিচুতলা পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় গজিয়েছে। সেই সব ঝেড়ে ফেলতে নতুন উদ্যমে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের সংগঠন মজুত করার কাজ শুরু হয়েছে। যাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। সবদিক বিচার করলে, এবারের জঙ্গলমহল সফর মমতার কাছে একুশের লক্ষ্যে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন