কলকাতা পুরভোটে অক্সিজেন পেয়েছে বামেরা। ২০১১ সালের পর প্রতিটা নির্বাচনে বামেদের লাগাতার ভোটক্ষয়ই ছিল দস্তুর। কিন্তু, সেই ছবির বদল ঘটছে ডিসেম্বরের কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে। আসন সংখ্যার নিরিখে না হলেও বিজেপিকে হারিয়ে শতাংশের বিচারে তিলোত্তমায় দ্বিতীয় বৃহত্তম লাল শিবির। এই পরিস্থিতিতে একদা বাম দুর্গ পূর্ব-বর্ধমানের মেমারি পুরসভা দখলে মরিয়া সিপিআইএম।
Advertisment
বৃহস্পতিবারই ঘোষণা হয়েছে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটের দিন। তালিকায় রয়েছে মেমারিও। এই মেমারিতেই বাড়ি সিপিআইএমের দাপুটে নেতা বিনয় কোঙার, অরিন্দম কোঙারদের। ফলে এই পুরসভাকে কোঙার গড়ও বলা যেতে পারে। ভোট ঘোষণার দিনই তাই মেমারি পুরভোটের জন্য বাম শিবিরের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থীদের নাম প্রকাশ হওয়ায় এবার জোরকদমে ভোটের লড়াইতে নামতে পারবেন লাল ঝান্ডাধারীরা। সিপিআইএম র প্রাক্তন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার, জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি, প্রশান্ত কুমার কুমার, পিযুষ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এ দিন তালিকা প্রকাশিত হয়।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, গত পুরভোটে মেমারি পুরসভা বামেদের হাতছাড়া হয়েছে। দখল নিয়েছিল তৃণমূল। জোড়া-ফুল শিবির একচেটিয়া সাফল্য পেলেও কমেনি সমস্যা। বিধায়কের সঙ্গে পুরপ্রশাসক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাঝেমধ্যেই অস্বস্তি পড়ে শাসক দল। হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ভোটের আগে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা ব্যথা তৃণমূলের। ফলে শাসকের অন্দরের এই বিবাদকেই কাজে লাগাতে মরিয়া সিপিআইএম নেতৃত্ব।