মান-অভিমানের পালা সাঙ্গ করে দলের সঙ্গেই থাকার পুরস্কার পেলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে স্থান পেলেন তিনবারের সাংসদ। দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তিনবার সাংসদ হওয়ার পরেও দলে বড় কোনও পদ পাননি শতাব্দী।
ইদানীং জেলার কোনও কর্মসূচিতেও ডাক পেতেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিমান জানিয়েছিলেন শতাব্দী। গতকালই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগেরদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মত পাল্টান শতাব্দী। রবিবারই বড় দায়িত্ব পেলেন তিনি। দলের সহ-সভাপতি হিসাবে রাজ্য কমিটিতে ঢুকলেন শতাব্দী।
আরও পড়ুন তৃণমূলের জেলা কমিটিতেও ঠাঁই হল না জিতেন্দ্র তিওয়ারির, বিদ্রোহের মাসুল?
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কাজ করতে দলের মধ্যে থেকেই বাধা আসছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তৈরি হয়েছিল তাঁর দলত্যাগের জল্পনা। এরমধ্যেই শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন শনিবার দিল্লি যাবেন তিনি। দেখা হতে পারে অমিত শাহের সঙ্গে। আর তাতেই শতাব্দী রায়ের বিজেপিতে যোগদানের চর্চা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
বীরভূমের সাংসদকে দলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূলও। সৌগত রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় শতাব্দীর। কুণাল ঘোষ সাংসদের বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করেন। শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুব তৃণমূল সভাপতির ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শতাব্দী রায়। আর তাতেই জট কাটে। সুর নরম হয় তৃণমূল সাংসদের। দলে থাকার পুরস্কারও পেয়ে গেলেন তিনি।