'যাঁরা গোর্খাদের পক্ষে থাকে তাঁরা জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে থাকবে।' জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এমনই মন্তব্য করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। মঙ্গলবার তিনি জিটিএ নির্বাচনকে ঠিকাদারদের দেওয়া টেন্ডার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই সঙ্গে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-কে 'অন্যান্য নেতাদের থেকে বেশি গোর্খাদরদী' বলেও মন্তব্য করেছেন দার্জিলিঙের সাংসদ।
মঙ্গলবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এবং জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল। আগামী ২৬ জুন নির্বাচন হবে জিটিএ এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে। ২৯ জুন গণনা। নির্বাচনের ঠিক একমাস আগে ২৭ মে সরকারিভাবে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিপক্ষে ইতিমধ্যেই মত দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং। মোর্চার পাশাপাশি এবার জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় মুখ খুললেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদও। মঙ্গলবার দুপুরেই বিস্তা দিল্লি থেকে বিমানে শিলিগুড়ি পৌঁছন।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা বলেন, 'যাঁরা গোর্খাদের হিতের কথা ভাবে, তাঁরা জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে থাকবেন। জিটিএ নির্বাচন আসলে ঠিকাদারদের টেন্ডার প্রক্রিয়া। বাংলার কিছু ধান্দাবাজ নেতা আর ঠিকাদার এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। যেহেতু বিজেপি ঠিকাদারি সংস্থা নয়, তাই জিটিএ নির্বাচনে বিজেপি অংশ নেবে না। জিটিএ একটি অসাংবিধানিক সংস্থা। এর কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই। নেই অন্যান্য ক্ষমতাও। আসলে জিটিএ গোর্খাবিরোধী।
আরও পড়ুন- আরও বড় ভাঙন বিজেপিতে? তৃণমূলে ফিরতে কী শর্ত দিলেন সৌমিত্র খাঁ?
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। অথচ পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বদলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অনীহা। পাশাপাশি, দুটো জায়গা শিলিগুড়ি আর দার্জিলিং। কিন্তু, দুই জায়গার ক্ষেত্রে একই সরকারের পৃথক মনোভাব। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন বিস্তা। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, 'জিটিএ নির্বাচন করে জিটিএ তহবিলের ২০০ কোটি টাকায় পাহাড়-তরাই আর ডুয়ার্সের জনতাকে কিনতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হবে বিজেপি।' এই ব্যাপারে 'গোর্খাদরদী' নেতা বিমল গুরুং যে বিজেপির পাশেই থাকবেন, কার্যত তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন দার্জিলিঙের সাংসদ।