কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সেদিন অমিত শাহের সভায় মুখ ঢেকে উঠেছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ। কিন্তু শনিবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিজেপির সংবর্ধমা সভায় আসার পথে বিক্ষোভ এড়াতে পারলেন না। তৃণমূলের তফসিলি মোর্চার নেতা-কর্মীদের বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। তৃণমূলের তফসিলি মোর্চার সভাপতি সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়াল হেস্টিংসে। পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দিলেও বিজেপি কর্মীদের সাহায্যে কোনওরকম ঢুকতে পারলেন পার্টি অফিসে।
এদিন নব্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে বঙ্গ বিজেপি। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় আসার কথা ছিল সুনীল মণ্ডলের। অভিযোগ, সাংসদ আসতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূলের তফসিলি মোর্চার নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা এতদিন সুনীল মণ্ডলের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু সাংসদ দল পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। সুনীলবাবু তৃণমূলে আছেন না বিজেপিতে চলে গিয়েছেন সেটা তাঁর মুখ থেকে শুনতে চান কর্মীরা। ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয় বলেও অভিযোগ। সুনীল মণ্ডলকে কোনওরকমে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল কর্মীদের। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন ধাত্রীভূমি সিঙ্গুরেই গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ জোড়া-ফুল, বাড়ছে উদ্বেগ
এই ঘটনার জেরে সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, "যারা এই কাজ করেছেন তাঁরা আমাকে তৃণমূলে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার বাড়িতেই গিয়েছিলেন। এদের সঙ্গে কিছু খারাপ মানুষও ছিলেন।" তিনি আরও বলেন, "আমার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা হয়।" বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, "এর থেকে বড় নোংরামি আর হয় না। মানুষের সময় খারাপ হলে বিবেক নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন তো।" যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সাংসদের জবাবদিহি চাইতে এসেছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনেই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথসভা করছে তৃণমূল। গন্ডগোলের আশঙ্কায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ওই এলাকায়।