বিধানসভায় প্রথমবার একসঙ্গে ৭৭ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। শুক্রবার ভরা সংসার নিয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে থাকলেন না দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা নব নির্বাচিত বিধায়ক মুকুল রায়। এলেন না নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে কি দিলীপের ডাকা বৈঠক বলেই এড়িয়ে গেলেন মুকুল-শুভেন্দু? একদা তৃণমূলের দুই স্ট্রংম্যানকে নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে।
শুক্রবার নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় বৈঠকের কথা পূর্ব ঘোষিত। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই বিধানসভায় আসেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠক করেন অধিকাংশ বিধায়কের সঙ্গে। এদিন ছিল নদিয়া জেলার বিধায়কদের শপথ গ্রহণ। বৈঠকের আগেই বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করে চলে যান মুকুল রায়। তৃণমূলের সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, যা বলার পরে সবাইকে ডেকে বলব। এতেই জল্পনা দানা বাঁধে। এরপর 'জায়ান্ট কিলার' শুভেন্দুও বৈঠকে গরহাজির ছিলেন।
কেন দুজন অনুপস্থিত, তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এটা দলীয় কর্মসূচি মেনে বৈঠক নয়। তাই কারও থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারই এই বৈঠকের কথা দলের তরফে জানানো হয়। তা সত্ত্বেও কেন থাকলেন না মুকুল, কেনই বা এলেন না শুভেন্দু? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে থাকা মুকুল-শুভেন্দুকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে টানাপোড়েন চলছে। সূত্রের খবর, দিলীপ চান, সংঘ থেকে আসা কোনও বিধায়ক বিরোধী দলনেতার পদে বসুন। তা নিয়েও দ্বন্দ্ব। সেই কারণেই হয়তো বৈঠক এড়িয়েছেন মুকুল-শুভেন্দু।
এদিকে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা না থামা পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন বয়কটে ঘোষণা করল বিজেপি। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আগে হিংসা থামবে, ঘরছাড়ারা ফিরবে, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে তারপর অধিবেশনে অংশ নেবেন দলীয় বিধায়করা। তার আগে নয়। উল্লেখ্য, শনিবারই বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন পর্ব রয়েছে। দিলীপদের বিধানসভা বয়কটকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। বলেছেন, "স্পিকার নির্বাচনে সব দলের অংশ নেওয়াটা দীর্ঘদিনের রীতি। এটা অসৌজন্যতার রাজনীতি।"