Mukul Roy: যা হওয়ার তাই হল। শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিরোধী শিবিরের আসনেই বসলেন বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূলে ফিরে এলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক। তার উপর পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যও হয়েছেন তিনি। বিজেপির কোনও বিরোধিতাই ধোপে টেকেনি। এদিন পদ্মশিবিরের বিধায়কদের সঙ্গেই বসেন তিনি।
এদিন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার আসনের ক্রমিক সংখ্যা ৪০। ৪১ নম্বরে মিহির গোস্বামী এবং তারপরেই ৪২ নম্বর মুকুলের আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এদিন বিধানসভায় আসার পর তাঁকে শাসকদল তৃণমূলের বিধায়কদের সঙ্গেই দেখা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন বেনজির, চার মিনিটেই ভাষণ শেষ রাজ্যপালের, কী বললেন শুভেন্দু?
খাতায় কলমে এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন মুকুল রায়। তাই বিরোধীদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে তাঁকে বসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে বলেছিলেন, বিজেপির মুকুল রায়কে তৃণমূল সমর্থন করবে। রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন মুকুল রায়। সম্প্রতি তিনি শিবির বদল করেছেন। কিন্তু বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, প্রাক্তন দলের বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন সলিসিটার জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহেতার অপসারণ দাবি তৃণমূলের, শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে, এদিন বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যপাল রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ভাষণ তিনি পাঠ করবেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনের শুরুতেই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ভাষণ সম্পূর্ণ না করেই বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুরু থেকেই ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষণ বন্ধ করে দেন রাজ্যপাল। এরপরই কক্ষ ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ১৪ পাতার ভাষণের মাত্র কয়েকটি লাইনই পড়তে পেরেছেন রাজ্যপাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন