বিজেপি এই প্রথম বাংলায় সংগঠিত ভাবে দুর্গাপুজো করছে। যেখানে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ষষ্ঠীর দিন সল্টলেকের ইজেডসিসিতে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় সহ রাজ্যের তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব। সল্টলেকের ইজেডসিসিতে বঙ্গ বিজেপির এই দুর্গামণ্ডপে রয়েছে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সেই মেলবন্ধনে রয়েছে মুসলিম কারিগরদের ছোঁয়া। মণ্ডপের কাজে অংশ নিতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন আসরফ গাজি।
রামায়ণ কথা থেকে বাংলার নানা অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতি ফুঁটে উঠেছে ইজেডসিসির দুর্গামণ্ডপে। বাঁশ থেকে কাঠ, ছৌ থেকে মাটির ভাড়, রামায়ণ কথা, আরও নানা কারুকার্য রয়েছে এই মণ্ডপে। মণ্ডপের গায়ে ছবির আঁকিবুকিও বশ আকর্ষণীয়। মণ্ডপের মূল শিল্পী সল্টলেকের রাজা বনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "মণ্ডপটা জমিদার বাড়ির আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। পুজোর দালানও বলা যেতে পারে। বাংলার বিভিন্নরকম শিল্প-কলা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপে। এখানে যেমন কালিঘাটের পটশিল্পের ছোঁয়া আছে, আবার মালদার কাঠের কাজও আছে। ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুরের শিল্পীরা কাজ করেছে। বিভিন্ন রকম মাটির ভাড়ের কাজ, পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য রয়েছে। বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে এই মন্ডপে। রামায়ণের ভাব এখানে আছে। রয়েছে রামায়ণের বেশ কিছু গল্প।"
খুব দ্রুত এই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। শিল্পী বলেন, "আমাদের এই মণ্ডপ তৈরি করতে মাত্র ৫ দিন সময় লেগেছে। ১৬ অক্টোবর শুরু করে ২০ অক্টোবর শেষ করেছি।" বাংলার শিল্পকলাকে ভারতের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। আনুমানিক ৬শো স্কোয়ার ফুট জায়গা লেগেছে। মণ্ডপে লোহার কাঠামোর কাজ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। আসরফ গাজি, মতিন বাবু অনেকেই ভাল কাজ করেছেন।"
দিল্লি থেকে ইজেডসিসির দুর্গাপুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পুজোকে জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। মণ্ডপে লোহার কাঠামো তৈরির কারিগড় আসরফ গাজি বলেন, "এই কাজটা করে ভীষণ আনন্দ হয়েছে। কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রীর যে পুজোর উদ্বোধন করেছেন সেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এখানে কাজ করার অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে। মন প্রফুল্ল হয়েছে, অনেক উৎসাহিত হয়েছি। রাত-দিন এক করে কাজটা শেষ করেছি।" মণ্ডপ তৈরির কাজ প্রসঙ্গে আসরফের বক্তব্য, "এটা তো ভারতের ঐতিহ্য। এটাই ভারতের সম্পদ। আমার সঙ্গে কাজে আমার দুই ভাই আফসার গাজি, ফারুক আলি গাজিও ছিল। তাছাড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই ছিল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন