ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? পুরভোটে প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তৃণমূলের স্টিয়ারিং নিজের রাখতে নাকি পিকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন দলনেত্রী, এমনটাই বাজারে জল্পনা। এমনকী আজ, মহারাষ্ট্র নিবাসে কলকাতা পুরসভার বোর্ড গঠনের ঘোষণার সময়ও অনুপস্থিত ছিলেন সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাতে আরও জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
গুঞ্জনের মধ্যেই এদিন টুইট করে জল্পনায় জল ঢেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানানো হল, "আই-প্যাক এবং তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি নিয়ে যে সমস্ত খবর রটছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একেবারেই অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা একটা টিম হিসাবে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও সম্পর্ক বজায় থাকবে।"
এই জল্পনা ওঠার অন্যতম কারণ হল ডেরেক ওব্রায়েনের একটি মন্তব্য। গতকাল রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা বলেছিলেন, তৃণমূল আর আই-প্যাক এক নয়। আই-প্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের পাঁচ বছরের গাঁটছড়া হয়েছে। আর এ জন্য তৃণমূলের জন্য রাজনৈতিক সমীক্ষার কাজ করবে পিকের সংস্থা। কিন্তু দলের মতামতে হস্তক্ষেপ করবে না এই সংস্থা। দলের যে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন ‘নির্দল কাউন্সিলরদের দলে নেওয়ার দরকার নেই’, বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে কড়া বার্তা মমতার
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, "আমাদের বিস্তারের উদ্দেশ্য হল বিজেপিকে হারানো এবং যেখানে যেখানে বিরোধী দুর্বল সেখানে পা রাখা। তার মানে এই নয় যে তামিলনাড়ুতে বা মহারাষ্ট্রে পা রাখবে দল। কারণ সেখানে ডিএমকে এবং শিবসেনা-এনসিপি রয়েছে।" বাংলা-জয়ের জন্য পিকে-কে একা ক্রেডিট দিতে রাজি নন তিনি।
এরপর থেকেই জল্পনা গাঢ় হয়েছে, মমতার সঙ্গে সংঘাত হয়েছে পিকের। তাই দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীই শেষ কথা, পিকে-র কোনও মতামত নেওয়া হবে না। কিন্তু এদিন তৃণমূলের তরফে টুইট করে স্পষ্ট করা হয়েছে, আই-প্যাকের সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। তৃণমূল এবং পিকের সংস্থা এক হয়ে কাজ করবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন