বিতর্ক এবং দিলীপ ঘোষ, একুশে ভোটের সময় কার্যত সমার্থ হয়ে উঠেছিল। গত কয়ে মাস তাতে লাগাম পড়লেও শুক্রবার ফের তা মাথাচাড়া দিল। আবারও মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সব-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'তৃণমূলে একজনই পুরুষ, বাকি সবাই মহিলা।'
ঘোষণা বাকি, তবে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের দিনক্ষণ প্রায় পাকা। চড়ছে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি নেতৃত্বের টিকাটিপ্পনী। বিতর্কের সূত্রপাত সেই থেকেই। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের যুব শাখার প্রধান সায়নী ঘোষ অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দাবি করেন, 'কোনও মহিলার পক্ষেই বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়৷ বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল।'
সায়নীর এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়েই এদিন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ। প্রথমেই তিনি বলেন, 'সায়নী কী নিজেকে পুরুষ মনে করেন?' তারপরই বিজেপিতে মহিলাদের সম্মানের খতিয়ান পেশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, 'বিজেপি দেশজুড়ে চারজন-পাঁচজন মহিলাকে রাজ্যপাল করেছে। আমাদের সময়ই প্রথম মহিলা বিদেশমন্ত্রী, প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবই হয়েছেন।' এর রেশ ধরেই সব শেষে বলেন, ' ওঁরা যাকে মহিলা নেত্রী ভাবেন, তিনি তো নিজেকে মহিলা ভাবেন না। তৃণমূলে একজনই পুরুষ আছেন। বাকি সবাই মহিলা।'
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাঁর মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অবমাননা ও কুরুচিকর বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে নন্দীগ্রামে প্রাচারের গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর পা ভেঙে যাওয়ার পর তাঁকে বার্মুডা পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে ভোটে বিজেপির পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবেও দলের অভ্যন্তরীণ ময়নাতদন্তে তৎকালীন রাজ্য সভাপতির ওই মন্তব্যকে দায়ী করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিবাদে মুখর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'ওনার সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ছেলেমানুষি মন্তব্য। তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আদতে দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তিকে স্বীকার করে নিচ্ছেন নিচ্ছেন। এটা ভাল প্রবণতা।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন