জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তারপর থেকে এটাই প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন। এমনটাই বিএসএফ সূত্রে খবর।
সোমবার সকাল ৬টার কিছু পরে সাম্বার রামগড় সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাক রেঞ্জার্সরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। সীমান্ত বরাবর বিএসএফ-এর টহলদারি ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁরা।
গত ফেব্রুয়ারির চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন রুখতে কড়া ধারা রাখা হয়েছিল। কঠোর ভাবে সেই ধারাগুলো অনুরসরণে সায় দিয়েছিল দুই পড়শি দেশ।
যদিও এর আগে ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির একাধিকবার লঙ্ঘন করেছে পাক সেনাবাহিনী। এদিকে, গতমাসে জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা।অনন্তনাগের নিরাপত্তাকর্মী হত্যায় অভিযুক্ত জঙ্গি-সহ চার সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করেছে তাঁরা। ১০ এপ্রিল রাতভর চলা দুটি পৃথক গুলির লড়াইয়ে এই সাফল্য লাভ করেছে বলে সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। অনন্তনাগ ও শোপিয়ান জেলায় দুটি পৃথক গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একটি লড়াই চলছিল অনন্তনাগ জেলার বিজওয়েহারা এলাকায়। সেখানে দুই জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য লড়াইটি চলছিল শোপিয়ানের হাদিপোরা এলাকায়। সেখানে ১০ এপ্রিল সেনার গুলিতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়, ১১ তারিখ ভোরে আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয় ওই এলাকায়।
সেনার তরফ আরও জানানো হয়েছে, দুই জায়গাতেই জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। সেই খবরের সূত্র ধরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা। এর পর, অনন্তনাগে রবিবার সকালে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়, আর শোপিয়ানে শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে দুই জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজন নিরাপত্তাকর্মী মহম্মদ সেলি আখুনের হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। সেলিমকে কাশ্মীরের গোরিয়ান এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। ৯ এপ্রিলের এই ঘটনার পরেই অভিযান শুরু করে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশ।