আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ে পাশে আছে আরজেডি, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি এবং এনসিপি। দলগুলোর তরফে চিঠি দিয়ে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ভবনে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব তো আবার নবান্নে এসে বৈঠক করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। রাজ্যে বাস কড়া বিহারিদের তৃণমূলকেই ভোট দিতে উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন লালু-পুত্র। এই আবহে এবার বিজেপি-বিরোধী এই দলগুলোকে তৃণমূলের হয়ে প্রচার না করতে চিঠি লিখল প্রদেশ কংগ্রেস। মমতার দলের হয়ে প্রচারে আসবেন না। এই মর্মে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ইমেল করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, ‘আমি শরদ পওয়ার ও তেজস্বী যাদবকে ইমেল পাঠিয়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে না নামতে অনুরোধ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় স্তরে এমনকি বহু রাজ্যে কংগ্রেস এনসিপি ও আরজেডি-র সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি রেখেই আমি এই দুই নেতাকে অনুরোধ করেছি।’
প্রসঙ্গত, পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত মতো সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গী হিসেবেই বাংলার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এনসিপি ও আরজেডি। কিন্তু গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের দিন কলকাতায় এসে এ বারের ভোটে না লড়াই করার কথা জানিয়ে যান লালু পুত্র। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের জোটে না থেকে প্রকাশ্যেই মমতার হয়ে সওয়াল করে কলকাতা ছাড়েন তেজস্বী।
একই ভাবে জোট আলোচনা চলাকালীন পওয়ারের নির্দেশে সংযুক্ত মোর্চার জোট থেকে সরে দাঁড়ায় এনসিপি। শুধু তাই নয়, পওয়ার বাংলার ভোটে মমতাকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অনুরোধে এ রাজ্যের নির্বাচনে প্রচারে আসতে পারেন তেজস্বী-পওয়ার। এ কথা জানা মাত্রই তাঁদের ইমেল করে অনুরোধ করেন প্রদীপ। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে কেবলমাত্র বিজেপি-র বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়াই করছে এমনটা নয়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী বন্ধুরাও প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লড়াই করে যাচ্ছে। তাই শুধুমাত্র বাংলার ভোটে আরজেডি বা এনসিপি তৃণমূলের জন্য ভোট প্রচার করবেন, এটা ঠিক নয়। কারণ, এখানকার বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। জাতীয় স্তরে যে ভাবে আমরা একসঙ্গে লড়াই করি, এ রাজ্যে এমনটা হলে তা ভুল বার্তা বহন করবে।’
তাঁর এই ইমেল পাঠানো প্রসঙ্গে এআইসিসি-র অবস্থান কী? প্রদীপ বলছেন, ‘আমি বুধবার দিল্লি যাচ্ছি। সেখানেই আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আমার এই অবস্থানের কথা জানাব।’