ফের বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। এবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় উত্তর সম্পাদকীয় লিখে জল্পনা বাড়ালেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই তৃণমূলে ঘরওয়াপপসি করেছেন। রাজীব বিজেপি ছাড়তেই বুধবার দলের প্রতি বেসুরো হয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। তৃণমূল মুখপত্রে তাঁর লেখার শীর্ষক, 'কেন বিজেপি করা যায় না'। তার নীচে লেখা, 'ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি'। তাই নিয়েই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে প্রবীরকে নিয়ে। তিনিও কি এবার ঘরওয়াপসির পথে, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
একুশের নির্বাচনের আগে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু ভোটে হারের পর থেকেই পদ্মশিবির থেকে দূরত্ব তৈরি হয় প্রবীরের। দলীয় কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। মাঝে তাঁর মাতৃবিয়োগের সময় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর খোঁজ রাখেননি বলে আক্ষেপ করেন প্রবীর। সেইসময় তৃণমূলের নেতারা তাঁর খোঁদখবর নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়। এবার সরাসরি দলের বিরুদ্ধেই তৃণমূল মুখপত্রে কলম ধরলেন প্রাক্তন এই সাংবাদিক।
বিজেপির হয়ে ভোটে লড়তে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, সেটাই মুখপত্রে লিখেছেন প্রবীর ঘোষাল। কীভাবে বিজেপির একাংশ তাঁর প্রার্থীপদ মেনে নিতে পারেননি তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ভোটের মুখে বিজেপির ভিনরাজ্যের হিন্দিভাষী পর্যবেক্ষকদের জন্য যে সমস্যাগুলি হয়ে তা উঠে এসেছে প্রবীরের লেখায়। বিজেপিতে তিনি মানসিক ভাবে আর নেই, তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে সেকথা বলেছেন প্রবীর ঘোষাল।
আরও পড়ুন খোদ বিধানসভাতেই পা ভাঙার হুমকি মিহিরকে, উদয়নকে থামাতে আসরে অধ্যক্ষ
এদিকে, প্রবীরের এই কাজে অস্বস্তিতে বিজেপি। যেভাবে তৃণমূল মুখপত্রে দলের বিরুদ্ধে লিখেছেন প্রবীর তাতে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে পদ্মশিবির। যদিও প্রবীরের সঙ্গে আর সেই সম্পর্ক নেই বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু দলে থেকে শাসকদলের মুখপত্রে দলেরই নেতৃত্বের নিন্দা বিজেপি কতটা সহ্য করবে এখন সেটাই দেখার। মাস কয়েক আগে বামফ্রন্টের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা সিনহা তৃণমূল মুখপত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে দলীয় শোকজের মুখে পড়েন। এবার একই কাজ করলেন প্রবীর ঘোষাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন