রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। এবার বিক্ষোভের মুখেও পড়লেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। পিছনে আরও একটি গাড়িতে স্থানীয় কিছু বিজেপি নেতা-কর্মীও ছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর শীতলকুচিতে যাওয়ার পথে কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে।
এদিন বিএসএফের হেলিকপ্টারে করে নিশীথকে নিয়েই কোচবিহারে পৌঁছান রাজ্যপাল। তার পর নিশীথের সঙ্গে শীতলকুচিতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান ধনকড়। কথা বলেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। শাসকদল এই সফরকে ঘিরে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, একজন রাজ্যপাল যিনি সাংবিধানিক প্রধান, তিনি বিজেপির সাংসদের সঙ্গে সফর করছেন কেন? রাজনৈতিক মহলেও এই সফর ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন শীতলকুচি যাওয়ার পথে গোলকগঞ্জের কাছে কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের কনভয় যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখান। এখানেই শেষ নয়, চতুর্থ দফার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত চার জনের সেই জোড়পাটকি গ্রামে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে।
কোচবিহারে নেমেই এদিন রাজ্যপাল তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, প্রশাসনিক নির্দেশে রাজ্যপাল সরকারের মুঠোয় চলে আসবে। সাংবিধানিক পদকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? এভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘বাংলা ছাড়াও ৪ রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, কোথাও রক্তপাত হয়নি। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই হিংসা হয়েছে রাজ্যে।’