পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল বেরনোর পর গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাতেও বিজেপি উজ্জীবিত। বিধানসভা চত্বরে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে, লাডড্ু খেয়ে জয় উদযাপন করেছেন বঙ্গ বিজেপির বিধায়করা। তার মধ্যেই বোমা ফাটালেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে আসা জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজীব সাংবাদিক সম্মেলন শনিবারের বারবেলায় বললেন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সেকথা না কি শুভেন্দুই নিজে রাজীবকে বলেছিলেন।
গত বছর ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর তখন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, তিনি হেরে গেছেন। এদিন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাশে বসে বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজীব। তাঁর বক্তব্যকে পাশে বসে সমর্থনও করলেন জয়প্রকাশ। রাজীব এদিন বলেন, "ভোটের ফলের দিন আমাকে ফোন করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন। কিন্তু পরে কী ভাবে তিনি জিতে যান, তা জানি না। কোন জাদুবলে তিনি জিতলেন সেটা তিনি নিজেই জানেন।"
রাজীবের আরও দাবি, "নন্দীগ্রামে ভোটের ফের গণনা হোক, তাহলেই দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে যাবে।" তখন পাশে বসা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "২ মে বিকেল পাঁচটায় আমি হেস্টিংসের অফিসে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে বলি মাননীয়া নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। আমাদের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, অন্য ফল হয়েছে। শুভেন্দুকে আমি যখন বলি, তুমি তো হেরে গিয়েছিলে, আবার জিতলে কী ভাবে, জবাবে শুভেন্দু রহস্যময় হাসি হেসে বলে, ও অনেক কিছু করতে হয়েছে।"
আরও পড়ুন রাজ্যের বাজেট তৃণমূলের রাজনৈতিক লিফলেট: শুভেন্দু
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম ভোট মামলা এখনও বিচারাধীন। প্রকাশ্যে জনসভায় বার বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হার প্রসঙ্গে খোঁচা দেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে মমতাকে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী বলে আক্রমণ করেন। কিন্তু এদিন তৎকালীন বিজেপি নেতা রাজীব এবং জয়প্রকাশের দাবি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।