শনিবারের বারবেলায় তৃণমূল শিবিরের বেসুরো নেতা তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন কি বাত নিয়ে মুখিয়ে ছিল রাজ্য রাজনীতি। অনেকেরেই ধারণা ছিল, দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। বিজেপিতে পা বাড়ানোর আগে দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন। কিন্তু আদতে তা হল না। কিন্তু মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজীব। মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে দলের অনেকে বাধা দেন, সে বিষয়েও অভিযোগ করেন রাজীব।
এদিন তিনি বলেন, ”কাজ করতে চাই, তাতে বাধা পেলেই কষ্ট পাই, মনে ক্ষোভ জমে। ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, দলের মঙ্গলের জন্য কথা বলি। দল মানুষের সঙ্গে থাকুক, ভুল থাকলে মিটিয়ে নিক।” অনেকেই তাঁর ফেসবুক লাইভে জিজ্ঞেস করেন তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বাড়ছে নাকি! তাতে কৌশলী উত্তর দিয়েছেন রাজীব। বলেছেন, ”এখনও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। ধৈর্য ধরে আছি, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি।” দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ”দলনেত্রীও কাজের কথাই বলেন। কিন্তু যখন কাজ করতে গিয়ে বাধা পাই, তখন খারাপ লাগে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। দুঃখ লাগে যে, কিছু নেতা আছে, যখন দিশা দেখাতে চাইছি তখন তারা সেটাকে সমালোচনা করছে।”
আরও পড়ুন কথা রাখলেন শতাব্দী, কর্তব্য পালনের অঙ্গীকার
তবে এখনও ধৈর্যচ্যুতি হয়নি রাজীবের, সেটা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তার মানে এখনও সমাধানের আশা জিইয়ে রেখেছেন রাজীব। কিন্তু তা কতদিন? দলত্যাগের জল্পনা উস্কেও অভিষেক-কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় শেষপর্যন্ত সুরে বেজেছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলেই থাকছেন, দিল্লি যাচ্ছেন না বলে শুক্রবার রাতে আশ্বস্ত করেছেন দলকে। কিন্তু রাজীব? তিনি এখনও কি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যস্থতার অপেক্ষায় রয়েছেন? নাকি গুরুত্ব না পেয়ে শেষপর্যন্ত ধৈর্য হারিয়ে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়াবেন? সব সম্ভাবনাই খোলা রেখেছেন, আজ তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন