মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডে শেষ পর্যন্ত নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন 'বিক্ষুব্ধ' রতন মালাকার। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন বিদায়ী কাউন্সিলর। সাফ জানালেন, 'দিদির ইচ্ছাতেই প্রার্থীপদ তুলে নিলাম। তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।'
এবার কলকাতার পুরযুদ্ধে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গত দু’বারের কাউন্সিলর রতন মালাকাররে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। বদলে ওই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির লোক ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রচারও করছেন তিনি। আরর এতেই দলের প্রতি অভিমান হয় শাসক দলের পুরনো সৈনিক রতনের।
প্রথমে কাজরীদেবীর হয়ে প্রচারের কথা জানালেও পরে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসাবে গত বুধবার মনোনয়ন দাখিল করেন রতন মালাকার। মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন এই নেতার বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় জমে যায় এই কেন্দ্রের লড়াই।
তবে, শনিবার কলকাতা পুরসভা ভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে এ দিনই পুরযুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ালেন রতনবাবু। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসাবে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর।
কেন নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে রতন মালাকার বলেন, 'দিদির ইচ্ছায় নাম তুলে নিলাম।' তৃণমূল নেত্রী কী তাঁকে প্রার্থী পদ তুলে নিতে বলেছিলেন? রতনবাবুর দাবি, 'আমার সঙ্গে বক্সি দা, শোভন দা ও মদন দার কথা হয়েছে। তারপর আমি নাম তুলে নিয়েছি।' এখন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনেই তিনি প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন রতন মালাকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পুরযুদ্ধে যে চ্যালেঞ্জের সামনে কাজরীদেবীর পড়ার সম্ভাবনা ছিল রতন মালাকারের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের ফলে কার্যত তা আর রইল না। পাশাপাশি অন্তত এই ওয়ার্ডে 'বিক্ষুব্ধ' অস্বস্তি কাটল জোড়া-ফুল শিবিরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন