জল্পনা সত্যি করে পিছিয়েই গেল চার পুরনিগমের ভোট। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরনির্বাচন পিছনোর জন্য রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
তবে প্রচার নিয়ে কমিশনের আগের নির্দেশই বহাল থাকবে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সচিব। এছাড়়াও আগের বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই পুরভোট সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ”রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, এই পরিস্থিতিতে পুরভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায়? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ভোট পিছনোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই তাঁদেরই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে এব্যাপারে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে।”
আরও পড়ুন- বন্ধ হোক ভোট: সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের ‘ব্যক্তিগত’ মতামত, অনুসরণের পথে তৃণমূল?
তার পর পুরভোট পিছনোর পক্ষে সওয়াল করে রাজ্য সরকারও। আজই নির্বাচন কমিশনে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরভোট পিছিয়ে দিলে তাতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, এদিন চিঠিতে কমিশনকে এমনই জানিয়েছে রাজ্য। গতকালই করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কিনা সেব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন পুরভোট পিছলে আপত্তি নেই, নির্বাচন কমিশনে চিঠি রাজ্যের
আদালতের এই অবস্থানের পরেই তৎপরতা বাড়ে রাজ্যেরও। করোনা পরিস্থিতির জেরে কমিশন পুরভোট পিছিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই রাজ্য সরকারের। শনিবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে এমনই জানায় রাজ্য। চিঠিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ”করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য সরকার। পুরভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই।”
আরও পড়ুন প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে থাকবে না বাংলার ট্যাবলো, ‘অবহেলা’র অভিযোগ তৃণমূলের
রাজ্যের এই চিঠির পরেই তৎপরতা শুরু হয় নির্বাচন কমিশনের অন্দরেও। তার পর আজ দুপুরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশন জানিয়ে দেয় ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ ফেব্রুয়ারি হবে চার পুরনিগমের নির্বাচন।