জল্পনার অবসান করে বিধায়ক হিসাবে মমতার শপথ গ্রহণের দিনই তৃণমূলে ঘরওয়াপসি সব্যসাচী দত্তর। বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরই তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। এদিন বিধানসভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে ফের ঘাসফুল পতাকা তুলে নিলেন সব্যসাচী দত্ত।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সব্যসাচী দত্ত। মমতার অনুমতি নিয়েই ঘরে ফিরলেন বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন ঘরওয়াপসির পর সব্যসাচী বলেন, দলের সঙ্গে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছিল। যা থেকে আবেগপ্রবণ হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। আজ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের আমাকে দলে গ্রহণ করলেন। বাকিরা স্বাগত জানিয়েছেন। দল যেভাবে বলবে সেভাবেই আগামিদিনে কাজ করব।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পরই বেসুরো হন বিধানননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তারপর তাঁকে মেয়র পদ থেকে সরানো হয়। রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দম খেতে আসা আর তারপরেই দলবদল রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে আসে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হন সব্যসাচী। তৃণমূলে যাঁর সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ছিল, সেই সুজিত বোসের বিরুদ্ধেই বিধাননগরে তাঁকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির।
কিন্তু নির্বাচনে হেরে যান সব্যসাচী। রাজ্যে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর বহু তৃণমূল-ত্যাগী নেতা-নেত্রী বেসুরো হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সব্যসাচীও। প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করেন। ভোট রণকৌশল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কয়েক দিন তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হতে পারে বলে জল্পনা দানা বাঁধে। শোনা যায়, মন্ত্রী সুজিত বোসকে ফোন করে তাঁর আপত্তি আছে কি না জানতে চান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সব্যসাচীকে দলে ফিরিয়ে নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন মমতা, প্রথা ভেঙে বিধানসভায় পাঠ করালেন রাজ্যপাল
এদিকে, একের পর এক ধাক্কা খেয়েই চলেছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা পর পর দল ছাড়ছেন। রাজ্য সভাপতি বদল করেও ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরে। তৃণমূল সূত্রে খবর, আরও অনেকে বিজেপি ছেড়়ে তৃণমূলে আসার জন্য আগ্রহী। শুধু দলনেত্রীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন