নতুন বছরের প্রথম মাসেই রাজ্যের চার পুরনিগমে নির্বাচন হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চনন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ভোট হবে। সোমবার এই ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। তারপরই এই চার পুরনিগমে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন তিনি।
তবে, হাওড়া পুরনিগমের ভোট নিয়ে এ দিনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে হতে পারে হাওড়া পুরনিগমের ভোট? এ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, 'রাজ্য সরকার কমিশনকে জানিয়েছিল ২২ জানুয়ারি পাঁচটি পুরনিগমে ভোট করতে রাজি আছে তারা। কিন্তু এ নিয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে রাজ্যের তরফে কমিশনকে কিছু জানানো হয়নি। ফলে শিলিগুড়ি, চনন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ভোটের দিন ও সূচি ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যপাল হাওড়া পুর বিলে সই করলে আগামী ২২ জানুয়ারিই ভোট হতে পারে।'
শিলিগুড়ি, চনন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমেশিলিগুড়ি, চনন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মনোনয়ন জমার দিন মঙ্গলবার থেকেই শুরু। ৩রা জানুয়ারি মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ৪ জানুয়ারি মনোনয়ন দাখিলকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। ৬ তারিখ প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। ২৫ জানুয়ারি হবে গণনা।
কলকাতা পুরভোটে আদালতের নির্দেশে সব বুথে সিসিটিভি কার্যক ছিল। কিন্তু হিংসা, ভোট লুঠ এড়ানো যায়নি বূলে অভিযোগ বিরোধীদের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। আগামী চার পুরনিগমের ভোটেও সব বুথে সিসিটিভি-র নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আগামী ৪টা জানুয়ারি কমিশনের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক রয়েছে। আজ থেকেই ওই চার পুরএলাকায় চালি হল আদর্শ আচরণবিধি।
পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠক ছেড়ে এ দিন মাঝপথে বেরিয়ে যান বাম দলগুলির প্রতিনিধিরা। পরে কংগ্রেস, বিজেপিও এই বৈঠক বয়কট করে। ভোটার তালিকা সংশোধন না করেই কেন নতুন বছরে ভোট হবে তা নিয়ে প্রস্ন তোলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পরে কমিশনার জানান, আপাতত যে ভোটার তালিকা রয়েছে তার ভিত্তিতেই ভোট হবে।
পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠক ছেড়ে এ দিন মাঝপথে বেরিয়ে যান বাম দলগুলির প্রতিনিধিরা। পরে কংগ্রেস, বিজেপিও এই বৈঠক বয়কট করে। এদিন ১১১টি পুরসভার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, 'হাওড়া পুরসভাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই আমরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।' সিপিআইএম নেতা রবীন দেবের কথায়, 'পাঁচটা পুরনিগমের ভোট একসঙ্গে ২২ জানুয়ারি হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে চারটে পুরনিগমে ভোট হবে। কেন এই অব্যাবস্থা?'
বিরোধীদের দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধন না করেই নতুন বছরে ভোট করাচ্ছে কমিশন। যা অন্যায্য।