ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ভবিষ্যত কী শোভনদেবের তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, ভবানীপুরে পুরনো কেন্দ্রে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শোভনদেব কী করবেন সেটা স্পষ্ট নয়। বিধায়ক পদ ছাড়ার পর শোভনদেব বলেছেন যে, এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রয়োজন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি যাতে ভবানীপুর আসন থেকে লড়াই করতে পারেন, সেজন্য তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা ভবানীপুর আসনেই প্রার্থী হবেন। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক না থাকলেও আগামী ছয় মাস মন্ত্রী থাকতে কোনও বাধা নেই। তার মধ্যে কোনও আসন থেকে জিতে আসলেই হবে। জল্পনা ছড়ায়, কৃষিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল।
এখন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দুটি আসন ফাঁকা রয়েছে। একটিতে দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আরেকটিতে মানস ভুঁইয়া ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পর। তবে ইস্তফা দেওয়ার পর শোভনদেব জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যসভায় যেতে আগ্রহী নন। রাজ্য রাজনীতিতেই থাকতে চান। তবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত দল নেবে।
এবার প্রশ্ন, তাহলে কি খড়দহ আসনে প্রার্থী হতে পারেন তিনি? এবারের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ফল ঘোষণার আগেই করোনায় প্রয়াত হন। সেই কেন্দ্রে জেতে তৃণমূলই। মনে করা হচ্ছিল, এই কেন্দ্রের পুরনো বিধায়ক অমিত মিত্র ফের দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটের লড়াইয়ে নামতে রাজি নন তিনি। এই পরিস্থিতিতে খড়দহ আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেব। সূত্রের খবর, সেইদিকে এগোচ্ছে আলোচনা।