দলে যোগ দিয়েছেন দেড় বছর আগে। কিন্তু এতদিনে কোনও মিটি-মিছিল তো দূর, গেরুয়া শিবিরের কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জুটিকে। কিছুদিন আগে মিল্লি-আল-আমিন কলেজে অচলাবস্থা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে অপমানিত হয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। কয়েকদিন আগে অধ্যাপনা ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন বৈশাখী।
কিন্তু একুশের ভোটের আগে বড় উপহার পেলেন শোভন-বৈশাখী জুটি। বঙ্গ বিজেপির তরফে কলকাতায় বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হয় শোভনকে। তাঁর ডেপুটি হলেন তাঁরই বান্ধবী বৈশাখী। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা একদা দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির তৃণমূলের দক্ষ সাংগঠনিক নেতা শোভনকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন “অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে”, সৌরভ-সাক্ষাতের পর জল্পনা বাড়ালেন ধনকড়
জেলায় শক্তিবৃদ্ধি হলেও কলকাতায় এখনও সেভাবে সংগঠন মজবুত করতে পারেনি বিজেপি। একইসঙ্গে কলকাতা সাংগঠনিক জেলা সংগঠনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুমুল। কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল, দলীয় নেতৃত্বের উপর গোঁসায় তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন। কিন্তু টিম পিকের আপত্তিতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তাঁর ঘরওয়াপসি। এরপর দলের রাজ্য কমিটিতে আনা হয় শোভন-বৈশাখীকে।
কিন্তু গত নভেম্বরে রাজ্যে এসে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই এবার বড় দায়িত্ব পেলেন দুজনে। আগেও দলের কাছে কলকাতায় কাজ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন শোভন। সেরকম পদ যেন তাঁকে দেওয়া হয় আবদার করেছিলেন। শেষপর্যন্ত ভোটের মুখে সেই দাবি মেনে নিল বিজেপি। এবার গেরুয়া শিবিরের এই চাল ভোটে কতটা কার্যকর হয় সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন