মিল্লি আল-আমিন কলেজে অচলাবস্থা। আর তাই নিয়েই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অশালীন আক্রমণের অভিযোগ। সব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানালেন শোভন-বৈশাখী। শুক্রবার রাজভবনে গিয়ে জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন দুজনে। তাঁদের অভিযোগ, কলেজের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারছে না। কর্মীরা সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না। কয়েকদিন ধরে কলেজের বাইরে কিছু পড়ুয়া পোস্টার নিয়ে ধরনায় বসেছেন। সেই পোস্টারে নাম রয়েছে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। আর সেই পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেই নাকি বৈশাখী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ।
এদিন সেই অপমানজনক মন্তব্যেরই অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধর্নায় বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষা অর্থাৎ বৈশাখীকে সমূলে উৎখাত করার উসকানি দিয়েছেন। তাতেই অপমানিত বোধ করেছেন বৈশাখী। বৈশাখী এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি তো আর কলেজের অধ্যক্ষা পদে নেই। তাহলে আমার নামে পোস্টার কেন? আর আমার উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন! তখন তো ভোটব্যাঙ্কের চিন্তা ঘুরত মাথায়। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে তিনি যা বলেছেন তার জবাব জনগণ দেবেন। ওনার শুভবু্দ্ধি উদয় হোক। এই আশা রাখি।"
আরও পড়ুন ফের ‘কুকথা’ দিলীপের, মুখ্যমন্ত্রীকে অশ্রাব্য গালিগালাজ বঙ্গ বিজেপি সভাপতির
ফিরহাদের মন্তব্য একজন মহিলার সম্পর্কে অত্যন্ত অপমানজনক এবং অসম্মানজনক বলে অভিযোগ করেন শোভন। তিনি বলেন, "আমার ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৩০ বছরের বেশি সময় আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। এমন মন্তব্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তথা জনপ্রতিনিধি কী করে করতে পারেন আমার জানা নেই। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞাহীন মন্তব্যে আমি ব্যথিত। ফিরহাদের মিল্লি আল-আমিন কলেজের দায়িত্ব পাওয়ার পিছনে আমার অবদান ছিল। এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুলতান আহমেদ। এমন একটি কলেজে দাঁড়িয়ে একজন মন্ত্রী কোনও মহিলা সম্পর্কে কী করে এমন মন্তব্য করলেন! এই মন্তব্য আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। ওঁর আত্মসমালোচনা করা উচিত।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন