২০ বছরের নির্বাচনী খরা কাটিয়ে বিধানসভায় জিতেছেন তিনি। প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন। তবুও মুকুল রায় আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব। নির্বাচনোত্তর ফলাফল নিয়ে যখন বঙ্গ বিজেপিতে মুষল পর্ব চলছে, একে অপরকে দোষারোপের পালা চলছে, তখনও চুপ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। শুক্রবার বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করে নীরবেই প্রস্থান করলেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে জল্পনা বাড়িয়ে বলে গেলেন, "আমি আজ কিছু কথা বলব না। যেদিন বলার সেদিন সবাইকে ডেকে আমি বলব।"
জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও থাকছেন না মুকুল রায়। বৈঠকের আগেই বিধানসভা ছাড়েন তিনি। নব নির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে থাকছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু মুকুলের অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়েছে। এদিন শপথ গ্রহণের পর তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু পরে বলব কেন বললেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। তাহলে কি দলের প্রতি অভিমান হয়েছে মুকুলের? অন্তত গলায় তেমনই সুর শোনা গেল!
এবার ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক নেতা-বিধায়ক তৃণমূল ছেড়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে দলত্যাগীদের নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি প্রচার সভায় শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মুখে উঠে আসে একদা দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুলের নাম। মমতা বলেছিলেন, "শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভাল। ও অন্তত এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, যা এরা করেছে।"
এরপরই মুকুলকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। নির্বাচনী প্রচার পর্বে একপ্রকার নীরবই থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনেও জিতেছেন তিনি। হারিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর অন্য বিজেপি নেতারা মুখ খুললেও নীরব থেকেছেন মুকুল। আজ আবার নয়া জল্পনা তৈরি করলেন বিজেপি নেতা।