তৃণমূলে ফেরার একদিনের মধ্যে রাজ্যের তরফে পুলিশি নিরাপত্তা পেলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। কলকাতায় তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তার জন্য তিনজন পুলিশকর্মী থাকবেন। একইসঙ্গে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সুজাতার বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে সুজাতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পূর্বস্থলীতে যেখানে জনসভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, চলতি মাসেই সেখানে পাল্টা সভা করবে ঘাসফুল শিবির। সেই সভায় বক্তা হিসাবে থাকবেন সুজাতা।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে ‘সম্মান’ নেই। এই অভিযোগ করেই সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তারপরই সাংবাদিক সম্মেলনে সুজাতাকে আইনি নোটিস পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। তৃণমূলের ন্যক্কারজনক রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি সাংসদ। তারপরই বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আইনি নোটিস পৌঁছয় সুজাতার কাছে।
আরও পড়ুন আইনি নোটিসে সুজাতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ বিজেপি সাংসদের
সূত্রের খবর, সৌমিত্র খাঁর আইনজীবী সুজাতা খাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের যে নোটিস পাঠিয়েছেন সেখানে স্ত্রীকে ‘ঝগড়ুটে’ ও ‘উচ্চাকাঙ্খী’ বলা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে সুজাতা খাঁ হাইপারটেনশনের রোগী। নোটিসে নাকি বলা হয়েছে, পরিবারের থেকে আলাদা থাকার জন্য সুজাতা সৌমিত্রকে জোর করতেন। এমনকী শ্বশুর-শাশুড়ি ও সৌমিত্রর আত্মীয়দের সঙ্গেও অযথা ঝগড়া করতেন সুজাতা। বেশ কয়েকবার গায়ে হাতও তুলেছেন।
বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের পর থেকেই সুজাতা খাঁ নিজের কর্মক্ষমতার কথা বলে বিজেপিতে পদ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মনস্কামনা পূরণে স্বামীকেও তিনি জোর দিতেন। আর তা পূরণ না হওয়ায় সৌমিত্রকে নাকি সুজাতা খাঁ মারধর, গালিগালাজ করতেন। ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে শাসাতেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বামীর সম্মানহানি করতেই এসব করতেন বলে সুজাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সৌমিত্র খাঁর আইনজীবীর তরফে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন