২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের দুই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী নেমে পড়েছেন রাজনীতির বাকযুদ্ধে। লড়াই গিয়েছে জমে। হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি, কটাক্ষ চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হয়েছেন মদন মিত্র। তোপ দেগে দলেছেন নিয়মিত। পাল্টা জবাব দিচ্ছেন শুভেন্দুও। দুই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর লড়াই উপভোগ করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন নন্দীগ্রাম ও নেতাইয়ে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহিদদের স্মরণ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। দুটি অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, দুই জায়গায় কলকাতা থেকে গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নেতাইয়ে শুভেন্দু চলে যাওয়ার পর শহিদ বেদি গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু বলেন, "২০১১ সালে এখানে এসে লাশ কুড়িয়েছিলাম। প্রতিবছর আসি, ২০২২-এ আবার আসব। যাঁরা ১০ বছরে কোনও দিন আসেনি। আমি কোনও দিন পার্টির ঝান্ডা নিয়ে এখানে আসিনি।"
আরও পড়ুন শুভেন্দু ‘তোলাবাজ’-দিলীপ ঘোষ ‘গুন্ডা’, ফের নাম করে আক্রমণ অভিষেকের
নেতাইয়ের মঞ্চ থেকেই তোপ দেগেছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতৃত্বকে মদনের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, "আমি তৃণমূলের কাউকে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখতে চাই না। তাহলে তাঁকে হুগলি সেতু দিয়ে কলকাতায় ঢুকতে দেব না।" তাঁর হুঙ্কার, "অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী আমাদের দেখাবেন না। নেতাইয়ের বিকল্প, নেতাই থেকে পেটাই। পদ্ম ফোটাবেন তো। কী পদ্ম ফোটাবে? শুভেন্দু, নির্বাচনী যুদ্ধে ফের দেখা হবে। যুদ্ধক্ষেত্রে হেরে গেলে প্রাণ বিসর্জন দেব।" নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ, "আমরা কোনও মনোনীত নিই না। জুট কর্পোরেশনের চাকরিটা মনোনীত চাকরি।"
আরও পড়ুন মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন শুভেন্দুর, কটাক্ষ ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটির
সদ্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী নাম না করে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন আর এক প্রাক্তনকে। মদন মিত্রের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, "ভাইপো কোম্পানি লালগড়ে এক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকা (যাঁকে সোশাল মিডিয়ায় দেখা যায়) একজনকে পাঠিয়েছে। তাঁর কামারহাটিতে কোনও লোক প্রচার করতে যায়নি। আপনার ছেলে-মেয়েরা আবেদন করায় আমি গিয়েছিলাম। আপনার ছেলের থেকেও ছোট পবন সিংয়ের কাছে হেরে গিয়েছেন।" বছরের প্রথমে জমে গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ময়দান। এবার লড়াইয়ের ময়দানে দুই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী।