চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে পদ্ম। ৪-০ করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, শান্তিপুর বাদ দিয়ে বাকি তিন কেন্দ্রে জামানত পর্যন্ত জব্দ হয়েছে বিজেপির। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেসও। দিনহাটা এবং গোসাবায় রেকর্ড লক্ষাধিক ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এবার উপনির্বাচনের ফল নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এবারের উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪ শতাংশ ভোট এসেছে বিজেপির ঝুলিতে। একুশের নির্বাচনের পর ৬ মাসের মধ্যে এমন পাশা বদল ভাবতেই পারছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কীভাবে এমনটা সম্ভব তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিস্ফোরক অভিযোগে সরব হয়েছেন।
কী বলেছেন শুভেন্দু?
এদিন একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে শুভেন্দুর দাবি, "চার কেন্দ্রে ইভিএম বদল হয়েছে। সমস্ত ভোটের মেশিন পাল্টেছে। বেহালা পূর্বের মেশিন গোনা হয়েছে গোসাবায়। গোসাবার সুব্রত মণ্ডল, দিনহাটার উদয়ন গুহ, ৮৬-৮৭ শতাংশ ভোট কেউ পায় উপনির্বাচনে? আমরা বুথ বের করছি। শান্তিপুর কলেজ বুথ, ৪৭৮ পেয়েছে তৃণমূল, ৮ বিজেপি। ওই বুথে প্রেসিডেন্ট, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ-সহ ২০ জন বিজেপি কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বাড়ির ভোট ৯২টা। তারা বলছে আমার বাড়ির লোকরা তাহলে ভোট দেয়নি?"
আরও পড়ুন ‘কারও দল ছাড়ায় বিজেপির কিছু যায় আসে না’, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন সুকান্ত
"গোসাবার একটা বুথ আমাদের এক নেতার পরিবারের ভোট ৮টি। কিন্তু পেয়েছে একটি। এটা কী করে সম্ভব?" ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। তাঁর এই দাবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাতে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, "পাগলের প্রলাপ। ও আগে নিজের মাথাটা বদলাক। বিজেপির কর্মী, বাড়ির লোকের ভোট বিজেপি পাচ্ছে না এটা বাস্তব। দলের ব্যর্থতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্যই ভোট পাচ্ছে না। ও কি পাগল, উন্মাদ? ও নিজের মাথার চিকিৎসা করুক আগে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন