কয়েকদিন আগেও তিন তৃণমূলের কোর কমিটির নেতা ছিলেন। রাজ্যের তিন দফতরের মন্ত্রী, একাধিক সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যানের পদ, সরকারি নিরাপত্তা পেতেন। কিন্তু সদ্য দল পরিবর্তন করেও এখন প্রাক্তন দলকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সদ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। দিন দুয়েক আগে কাঁথির জনসভা থেকে প্রাক্তন নেত্রী থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের নেতা। শনিবার বিজেপির সংবর্ধনা সভায় ফের পুরনো দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু।
এদিন বিজেপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানের তাল কাটে হেস্টিংসের কার্যালয়ের সামনে দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে। অভিযোগ, সাংসদ আসতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূলের তফসিলি মোর্চার নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা এতদিন সুনীল মণ্ডলের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু সাংসদ দল পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। সুনীলবাবু তৃণমূলে আছেন না বিজেপিতে চলে গিয়েছেন সেটা তাঁর মুখ থেকে শুনতে চান কর্মীরা। ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয় বলেও অভিযোগ। সুনীল মণ্ডলকে কোনওরকমে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল কর্মীদের। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, হেস্টিংসে ধুন্ধুমার
এরপর যখন অনুষ্ঠান শুরু হয় তখন প্রাক্তন দলকে নিশানা করে শুভেন্দু আক্রমণ করেন। শাসকদলকে একহাত নিয়ে বলেন, “তৃণমূল একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। তাতে আর কোনও শৃঙ্খলা নেই। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা প্রকৃত দলে সদস্যপদ পেয়েছি। ভাবতেও লজ্জা লাগছে, ২১ বছর ধরে এই তৃণমূল দলটা করেছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাকে মোদিজির হাতে তুলে দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দল শাসনে না থাকলে বাংলার অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন