ভোট যত এগিয়ে আসছে, বঙ্গে উন্নয়নের বদলে কুকথার রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে। মিটিং-মিছিল থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ তো রয়েইছে, পরিবার-পরিজনদেরও ছাড়াও হচ্ছে না। কিছুদিন আগে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে ম্যাডাম নারুলার নাম নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দাবি করেন, তোলাবাজির টাকা যায় ম্যাডাম নারুলার থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তারই জবাব দিতে শনিবার ফোঁস করে ওঠেন অভিষেক। কাঁথির সভা থেকে বলে বসেন কুকথা।
২০১৫ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে একটি সভা করতে এসেছিলেন অভিষেক। বক্তব্য রাখার সময় এক যুবক মঞ্চে উঠে তাঁকে সজোরে চড় মারে। কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা সেই যুবককে পাশে বসিয়ে একটি ভি়ডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, "কী ভাইপো, চেনা যাচ্ছে? শুধরে যাও!" তারই উত্তরে এদিন শুভেন্দুগড় কাঁথিতে দাঁড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "একজন আবার ফেসবুকে পোস্ট করে আমাকে ভয় দেখাতে চাইছে। তোর বাপকে গিয়ে বল, তাঁর বাড়ির পাঁচ কিমির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। কী করবি কর! হিম্মত আছে? চার আনার নকুল দানা তার আবার ক্যাশমেমো!"
এটা আলাদা করে বলার দরকার নেই যে, কনিষ্ক পণ্ডা নয়, শুভেন্দুকেই নাম না করে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। সেই বক্তব্যের ভিডিও এদিন টুইট করেছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, "কাঁথির জনসভা থেকে বাংলা সংস্কৃতি … !!!" শুভেন্দুকে তুই-তোকারি করা নিয়ে অভিষেক বলেছেন, "বলছে আমাকে তুই-তামারি করছে। আমি করি না। তবে বেইমানদের তুই বলি। ভিতর থেকে সম্মান না এলে কী করব? তুইতোকারিই করব।"