বিজেপিতে যোগদানের পর ঘরের মাঠ কাঁথিতে প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশে ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু অধিকারী। অধিকারীগড় কাঁথিতে পাঁচ কিমি রোড শোয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জনস্রোত দেখে মুখের হাসি চওড়া বিজেপির। আর সেই রোড শো থেকে নয়া স্লোগান দিলেন শুভেন্দু। হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে। রোড শো থেকেই তিনি বললেন, প্রেমের ঠাকুর শ্রীচৈতন্যদেবের কথা স্মরণ করেই এই স্লোগান। সেইসঙ্গে তিনি প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বললেন, "আমাকে কাঁথিতে আটকে রাখা যাবে না। এবার গোটা রাজ্যজুড়ে প্রচার করব। আব কি বার ২০০ পার।"
গতকাল কাঁথিতে বিশাল মিছিল ও জনসভা করে শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবারকে বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল। সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার বলে আক্রমণ করেন। তাঁর পরিবারকেও আক্রমণ করেন। এদিন পাল্টা রোড শো করে শুভেন্দু দেখিয়ে দিলেন, তিনি যতই দল বদল করুন না কেন, মানুষের সমর্থন রয়েছে তাঁর উপর। এদিনের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ই তার প্রমাণ বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে আক্রমণের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, "যত আক্রমণ করবেন তত মানুষের সমর্থন বাড়বে।"
আরও পড়ুন ‘রাজনীতিতে কোনও ফুলস্টপ নেই’ থেকে ‘দিদির সঙ্গেই আছি’, জিতেন্দ্রর পটপরিবর্তন ঘিরে জল্পনা
ফিরহাদকে কটাক্ষ করে বলেন, "উনি এখানে কুৎসা করতে এসেছিলেন। একসময় কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী এখন আমার কুৎসা করছেন।" সৌগত রায়কে তোপ দেগে বলেন, "১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কলকাতায় কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী কী বলে আক্রমণ করেছিলেন উনি, সেটা বলতে পারব না।" নিজেকে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী হিসাবে দাবি করে শুভেন্দুর দাবি, "বিশ্বের বৃহত্তম দলের সদস্য আমি। দল যেখানে যে কর্মসূচি দেবে সেটাই করব। গোটা রাজ্যে প্রচারে যাব। আমাকে মেদিনীপুরে আটকে রাখা যাবে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন