ফের বিস্ফোরক রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পটাশপুরে এক সভায় শুভেন্দু বললেন, "ক্ষমতার দম্ভ থাকলে মানুষ পাশে থাকে না। ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়।" বিগত কয়েকদিন ধরেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের এমনই নানা মন্তব্যে জল্পনা ক্রমশ বেড়েছে। এদিন ফের নানা মন্তব্য করে তা উসকে দিলেন মন্ত্রী।
এর আগে নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, "যাঁরা অতীত ভুলে যায় তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।" নেতাইতে গিয়ে বলেছিলেন, "অন্যরা ভুললেও শুভেন্দু নেতাই নন্দীগ্রাম ভুলবে না।" দুদিন আগে বলেছেন, তিনি সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছেন। এবার ক্ষমতার দম্ভ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। উদাহরণ টানলেন বামফ্রন্ট সরকারের।
আরও পড়ুন ‘বাজারি কোম্পানি বলছে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না’, বেসুরো তৃণমূলের শীলভদ্র দত্ত
পটাশপুরের সভায় এদিন কী বলেছেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু বলেন, "আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালে আমার মার্জিন ছিল এক লক্ষ ৭২ জাজার, ২০১৪-তে মার্জিন আড়াই লক্ষ হয়ে যায়। ভাল কাজ করলে, মানুষের সঙ্গে থাকলে সমর্থন বাড়বে। আর ক্ষমতার দম্ভ দেখালে ২৩৫ যেমন এখন উঠে গেছে, যারা পঞ্চায়েতে আছেন তারা মানুষকে নিয়ে চলেন অনেক দিন থাকবেন মানুষকে নিয়ে না চললে মানুষই সরিয়ে দেবে।" নিয়মিত গ্রাম সংসদের সভা করতে নির্দেশ দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "সংসদে বসেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করুন। যেন প্রকৃত লোকেরাই ক্ষতিপূরণ পায়।"
আরও পড়ুন অনুগামী রাজনীতির ধারাই বদলে দিয়েছেন শুভেন্দু সমর্থকরা
দলবাজি না করে মানুষের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। শুভেন্দু বলেন, "পার্টি দেখে কাজ করলে বেশি দিন থাকবেন না। মানুষকে নিয়ে কাজ করলে বেশি দিন থাকবেন। যতই ক্ষমতার দম্ভ দেখান না কেন মানুষ শেষ কথা বলে। আমি তা নন্দীগ্রামে দেখেছি। ২৩৫ আমরা, ৩০ জনের কথা শুনব কেন?" উল্লেখ্য বামফ্রন্ট ২০০৬ সালে ২৩৫ জন বিধায়ক নিয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করেছিল। ওই নির্বাচনেই সব থেকে বেশি সংখ্যক বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিল বামেদের।
দুদিন আগে সিঁড়ি ভেঙে ওঠার কথা বলেছেন শুভেন্দু। এদিন সাইকেল চালানোর উদাহরণ টানলেন। তিনি বলেন, "সাইকেল চালাতে গিয়ে নিজে সাইকেল থেকে পড়লে সহজে সাইকেলে চড়তে শেখা যায়। ঠেলে, তুলে সাইকেল চালানো শেখালে অনেকটা সময় লেগে যায়।"