বিজেপিতে যোগদানের পর বৃহস্পতিবার প্রথম নিজের গড় কাঁথিতে শক্তি প্রদর্শন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগেরদিন কাঁথিতে বিশাল পদযাত্রা ও সভা করে শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবারকে বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ-সৌগতরা। বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর বলে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দুকে। এদিন পাল্টা নিজের গড়ে পাঁচ কিমি রোড শো ও পরে জনসভা করে জবাব দিলেন শুভেন্দু। শুধু তাঁদেরই নয়, জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বললেন, "৭ তারিখে নন্দীগ্রামে আসুন, ভাষণ দিন। আমি জানি আমার বিরুদ্ধে আপনি কী বলবেন। ৮ তারিখ আমি সভা করব। আপনার সব কথার উত্তর দেব।"
এদিন পদযাত্রায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জনস্রোতে বারবার আটকে যায় রোড শো। সুসজ্জিত ট্যাবলোতে চড়ে যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা সেই রোড শোতে ছিলেন। কিন্তু ট্যাবলোর মধ্যমণি ছিলেন শুভেন্দুই। যতই যুব মোর্চার কর্মসূচি হোক না কেন, দিনের শেষে এই রোড শো ও জনসভা শুভেন্দু শোয়ে পরিণত হল। এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই সিদ্ধান্তই সঠিক। সেটা মানুষের এই ভিড়ই প্রমাণ করছে। এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, আমি শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ মিলে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনই দখল করব।’’
আরও পড়ুন “হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে”, কাঁথির রোড শো থেকে নয়া স্লোগান শুভেন্দুর
আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুগড়ে শক্তি প্রদর্শনে কোনও কসুর করবেন না তৃণমূলে নেত্রী। এদিন মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বলেছি, ৮ তারিখ নন্দীগ্রামে সভা করতে চাই। উনি বলেছেন গো অ্যাহেড। আমি নিজে সেই সভার আয়োজন করছি। দিদিমণি এবারও আপনি এখানে দ্বিতীয় হবেন। প্রথম হবে বিজেপি। কয়লা চোর, বালি চোর, গরু পাচারকারি ভাইপোর কথা বলেছি। আমরা এখানে পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।’’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন