এ মাসের শুরুতেই বিস্ফোরক চিঠি লিখে ফের শিরোনামে এসেছেন জেলবন্দি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সারদা কর্তা। কে নেই সেই তালিকায়, রাজ্য রাজনীতিতে যিনি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চর্চায় সেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরির নামও রয়েছে চিঠিতে। এবার সেই চিঠি নিয়েই পাল্টা সিবিআইকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু।
১০ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টরকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, যেদিন সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন তার আগেই শুভেন্দু রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবং চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, এক তৃণমূল নেতা যিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন, এমন বয়ান নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশ সুদীপ্ত সেনের চিঠির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক। এত বছরে পর কেন তাঁর নাম এসবের মধ্যে টানা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবং সুদীপ্ত সেনের চিঠি এডিজি কারা বিভাগের দফতর থেকে কেন সংবাদমাধ্যমকে ফাঁস করে দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন ‘গ্রেফতার করা হোক তৃণমূল সাংসদকে’, দাবি মুকুল রায়ের
কারা দফতর সূত্রে খবর, গত ১ ডিসেম্বর সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সারদা চিটফান্ডের ব্য়বসা চালানোর জন্য কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরিও। তিনি নাকি ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন