Advertisment

'ভবিষ্যতেও নন্দীগ্রাম অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে', ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট শুভেন্দুর

সকালেই ফেসবুকে ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেছেন শুভেন্দু। সেখানেই ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
suvendu adhikaris indicative post on nandigram

শুভেন্দু অধিকারী।

নন্দীগ্রামে 'সূর্যোদয়ে'র বর্ষপূর্তি। গতবার তৃণমূল না ছাড়লেও পৃথকভাবে শহিদ স্মরণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার তিনি বিজেপিতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সকালেই ফেসবুকে ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেছেন শুভেন্দু। সেখানেই ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

Advertisment

ফেসবুকে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'নন্দীগ্রাম, শুধুমাত্র একটা নাম বা জায়গার নাম নয়। নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস যা কোনদিনই ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নন্দীগ্রাম হল আন্দোলনের মাটি, রক্ষার মাটি, আশ্রয়ের মাটি, বিশ্বাসের মাটি। নন্দীগ্রাম আগেও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে। রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের আজ ১৪তম বর্ষপূর্তি। নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের সকল অমর শহীদদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।'

একুশের ভোটে গোটা দেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। সম্মুখ সমরে মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা ও শুভেন্দু। ভোটের ফলে শুভেন্দু অধিকারীর জয় হলেও মেনে নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর করা মামলার ভিত্তিতে নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল পুনর্গণনার বিষয়টি আপাতত আদালতের বিচারাধীন। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর ফেসবুক পোস্টে লেখা ' নন্দীগ্রাম আগেও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে' পংক্তিটি রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

তবে, বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন তাপস রায়, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ সহ স্থানীয় জমি আন্দোলনের নেতারা। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। কুণাল ঘোষ সাফ বলেন, 'শুভেন্দু নন্দীগ্রামে ভেদাভেদের রাজনীতি করতে মরিয়া। নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে হঠিয়ে ছাড়ব। নন্দীগ্রাম আদ মুখ্যমন্ত্রী পেতে পারতো। তাই পুনর্গণনায় ভয় পাচ্ছে বিরোধী দলনেতা, রুখতে চাইছে পুনর্গণনা। ফের ভোট হলে এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ হাজার ভোটে জিতবেন।'

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন হয়। ওই বছর ১৪ মার্চ তৎকালীন বাম সরকারের নির্দেশে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। ঘটনায় ১৪ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর বিতর্কের মুখে পড়ে হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে আবারও হিংসার ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর ভূমি উচ্ছেদ কমিটি ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’ -এ শহিদদের কুর্নিশ জানিয়ে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রামের শহিদদের আমরা ভুলছি না, ভুলব না। নন্দীগ্রাম সহ সারা পৃথিবীর সকল শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp nandigram Suvendu Adhikari
Advertisment