Advertisment

নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দুই, ইঙ্গিত দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে ৬০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এখন সংসদীয় কমিটির সিলমোহরের অপেক্ষা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সম্ভবত শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে এই প্রস্তাব শাহ-নাড্ডাদের দিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গত প্রায় দু’দিন রাজ্যে বিজেপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে চলছে নির্বাচনী কমিটির বৈঠক। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই নন্দীগ্রাম থেকে গেরুয়া প্রার্থী হতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।

Advertisment

যদিও রাজীব জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য দলই জানাবে। যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে ৬০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এখন সংসদীয় কমিটির সিলমোহরের অপেক্ষা। সেই বৈঠকও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবারই সম্ভবত প্রথম দুই দফার ৬০টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি।

এদিকে,দলীয় ভাবে চূড়ান্ত নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা। কিন্তু বিজেপির তরফে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কে? শুভেন্দু অধিকারী না অন্য কেউ? সেটা স্থির করতেই বৈঠক চলছে দিল্লিতে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের হেভিওয়েট এই কেন্দ্রে অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলের নামই ভেসে উঠছে বারংবার। তবে চূড়ান্ত কিছু না হলেও উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে পিছুপা হচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার পিংলার জনসভায় তাঁর হুঙ্কার, ‘তিনিই নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন।‘ যদিও পুরনো দলের সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে নিজের পুরনো কেন্দ্রে তিনিই সম্মুখসমরে কি না, তা স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু। কর্মী, সমর্থকদের সামনে সংযুক্ত মেদিনীপুরে (পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর মিলিয়ে) বিজেপির পক্ষে ৩৫-০ করার শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। তারপরে এদিন পিংলার জনসভা থেকে ফের এক বার মমতাকে হারানোর শপথ নিয়েছেন শুভেন্দু। গলায় প্রত্যয়ের সুরে বলেছেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। নিশ্চিত থাকবেন, হারাব আমি। দল প্রার্থী করলে, সরাসরি হারাব। অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও হারাব। পদ্ম ফোটাব। দায়িত্বটা আমার।’

রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগেই, গত ১৮ জানুয়ারি তেখালির জনসভা থেকে নন্দীগ্রামে নিজে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর মাস্টারস্ট্রোক ছিল, এখান থেকে আমি প্রার্থী হলে কেমন হয়? রাজনৈতিক মহলের  মত, নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে কর্মীদের কাছেও বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন, রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী।

Advertisment