একুশের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর বার বার নেতৃত্বকে ব্যর্থতার জন্য নিশানা করেছেন তথাগত রায়। তাঁর নিশানার কেন্দ্রে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশরা। সম্প্রতি উপনির্বাচনে বিজেপি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ায় আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। দিলীপকে চাঁচাছোলা ভাষায় টুইটে আক্রমণ করেন তথাগত। পাল্টা নাম না করে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে দল ছাড়তে বলেন দিলীপ।
এবার সেই দল ছাড়া নিয়ে পাল্টা দিলীপকে খোঁচা দিয়েছেন তথাগত। নাম না করে টুইটে তাঁর আক্রমণ, তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছেন না। দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথা ফাঁস করার হুমকি দিয়েছেন তথাগত। তিনি লিখেছেন, "গতকাল থেকে ফোনে ফোনে জর্জরিত হয়ে গেলাম। সকলকে আশ্বস্ত করছি এই বলে, যে আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। আমি আপাতত এখন সাধারণ সদস্য। এই অবস্থাতেই যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব। দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।"
প্রসঙ্গত, ভোটে ভরাডুবির পর থেকে দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে। গতকাল নাম না করে তথাগত রায়কে আক্রমণ করে দিলীপ বলেন, "এতই যখন লজ্জা লাগছে বিজেপি করতে, তাহলে দল ছেড়ে দিন। কতদিন আর লজ্জা পাবেন। দলের জন্য কিছুই করেননি। দল সবথেকে বেশি যাঁদের দিয়েছে, তাঁরাই দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য।" এর জবাবে তথাগতর পাল্টা টুইট ছিল, "এর জবাব দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারবেন না। তাই পণ্ডশ্রম করে লাভ নেই। এই মন্তব্যকে আমি বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না।"
আরও পড়ুন বিপ্লব-রাজ্যে ফের কুণালের নামে মামলা, ‘ভালো, ত্রিপুরা ঘুরে দেখব’, টুইট তৃণমূল নেতার
তথাগত এবং দিলীপের বাকযুদ্ধের মধ্যে আবার তরজায় ঢুকে পড়েন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটে লেখেন, "রাজ্যপাল পদ শেষ হলে বাংলায় নেতা হতে এসেছিলেন তথাগত। দিলীপ ঘোষ ঢুকতে দেননি। দিলীপবাবু তো নিজে তবু বিধায়ক-সাংসদ হয়েছেন। এই ভাঁড়সম্রাট তথাগত, দিলীপবাবুর জুতো পালিশের যোগ্য নন। রোজ অবসাদ থেকে বিষোদগার করছেন টুইটে। গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া আর ছাড়া এটার আছে কী?"
তখন তথাগত কুণালকেও পাল্টা দেন। তাঁকে বিঁধে তথাগতর টুইট, "সারদা কেসে জেলে গিয়ে, জামিন পেয়ে অতীতের পাপস্খলন করার জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মমতাপন্থী হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনখারাপি করার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন