পঞ্চম দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি নদিয়া জেলায়। শনিবার কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুরের ২৭০ নম্বর বুথে বোমাবাজি। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। ভোট দিতে এসে বোমার আঘাতে জখম এক বিজেপি কর্মী। চৈতন্য ভট্টাচার্য নামে ওই বিজেপি সমর্থকের পায়ের সামনে বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে পথ অবরোধে বিজেপি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে হাতে লাঠিসোটা নিয়েও বেরিয়ে পড়েন। পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি দাস নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চরাও হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা।এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেই বাপি দাস, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ দিন ধরে তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। পরিবারের দাবি, বহুদিন ধরে বাড়িতে নেই ওই তৃণমূল নেতা। এদিন আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে অশান্ত হয়ে ওঠে গয়েশপুর। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে বিক্ষোভ। তাঁকে বন্দুক উঁচিয়ে পুলিশের সামনেই হুমকির অভিযোগ বিজেপির। বহিরাগত দুষ্কৃতী নিয়ে এসেছেন বিজেপি সাংসদ। এই অভিযোগে সরব তৃণমূল। যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, 'আগ্নেয়াস্ত্র জড়ো করেছে ত্রিনমুল্ল। এখানে অশান্তি হচ্ছে শুনে দেখতে এসেছিলাম।'
পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, এবার শান্তিপুরেও অশান্তি, চলল ‘গুলি’। গুলি চালানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত তৃণমূল সমর্থক শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি।প্রথমে বোমাবাজি ও পরে গুলি চালানোর অভিযোগ। যদিও এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দায় এড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজপুর পাড়ার এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টহলদারী শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘এদিন দুপুরের দিকে বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে।‘
সেই শান্তিপুরেই আবার বেলেডাঙায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ঘিরে খেলা হবে স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়েন বিজেপি প্রার্থী। এতদিন আসেননি, ভোটের দিন এসেছেন, তাই বিজেপি প্রার্থীকে দেখে খেলা হবে স্লোগান, দাবি তৃণমূল কর্মীদের।
অন্যদিকে, চাকদায় বুথের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আটক নির্দল প্রার্থী। বাড়ি থেকে পাঁজাকোলা করে নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিককে নিয়ে গেল পুলিশ। সকালে চাকদার তালতলা এলাকায় রামলাল অ্যাকাডেমি হাইস্কুলের ৪৪ ও ৪৫ নম্বর বুথের কাছে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথের সামনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিকের দাবি, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন। পালানোর সময় দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পড়ে যায় পিস্তল। নির্দল প্রার্থীর দাবি, তিনি পাঞ্জাবি দিয়ে মুড়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশের কাছে জমা দিতে যাওয়ার সময় তাঁর হাত ফস্কে সেটি পড়ে যায়। ওয়ান শটারটি উদ্ধার করে পরে বাড়ি থেকে নির্দল প্রার্থীকে আটক করে পুলিশ।