নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে মমতার চিঠির জবাব দিল কমিশন। নন্দীগ্রামের ভোটে কোনও কারচুপি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করে জানালো কমিশন। পাশাপাশি খারিজ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ।
কমিশনের জবাবি চিঠিতে লেখা, 'সাড়ে ৫টায় শুরু হয়েছে মকড্রিল। আর সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ।' সিসিটিভি ফুটেজ উল্লেখ করে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি বয়ালের বুথে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। সেই চিঠিতে উল্লেখ কমিশনের। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে চিঠিতে জবাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও বয়ালের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্ট আসেননি। উল্লেখ কমিশনের চিঠিতে।
যদিও কমিশনের অবস্থানকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এমনকী, নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটে জিতবেন দলনেত্রী। এমন দাবিও করেছেন তিনি।
এদিকে, মমতার অভিযোগ খারিজ করেছে বাংলার মানুষ। পাল্টা এই দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
বয়ালে ছাপ্পা ভোট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও বৃহস্পতিবারই সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার বিপুল ভোটদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নন্দীগ্রামে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রসংশায় ভরালেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের কর্মীদের কাজ। যার মাধ্যমে আদতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
শুক্রবার টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের যে ৩০টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সেখানে সার্বিকভাবে ভোট পড়েছে ৮৪ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য যে নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮৮ শতাংশের বেশি। যা অত্যন্ত ইতিবাচক। সিআরপিএফ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। বাকি পর্যায়গুলোতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে আশা করছি। গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ভোটের আবেদন করছি। হিংসার কোনও স্থান নেই।’