Advertisment

"হিমশৈলের চূড়ামাত্র, সারা দেশের কাছে লজ্জা!", মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari on NHRC report: এদিন শুভেন্দু বলেন, "আমি বিরোধী দলনেতা। ডিজিপি বীরেন্দ্রকে ফোন করেছিলাম। তিনি প্রথমে আমার ফোন ধরেননি। পরে মেসেজ করলে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন। ভাবুন, ডিজিপি যদি এমন করেন তাহলে ওসি-আইসিরা কী করছেন!"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suvendu Adhikari, Post Poll Violence

সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে রাজ্যে আইনের শাসন নেই।"

হিমশৈলের চূড়ামাত্র! সারা দেশের কাছে লজ্জা! রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়ে এই মন্তব্যই করল বঙ্গ বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বাম আমলে প্রশাসন ও দলের মধ্যে সুক্ষ্ম রেখা অবশিষ্ট ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই রেখা মুছে গেছে। এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র।"

Advertisment

এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই রিপোর্টকে আমরা স্বাগত জানালেও এটি অসম্পূর্ণ। ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপির উপর আক্রমণ চলছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশের রিপোর্ট সারা দেশের কাছে লজ্জা। রিপোর্ট যা উল্লেখ তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কমিশন মুখবন্ধ খামে ৫০০ পাতার একটা রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করেছে। নবান্নের অনুরোধে সেই রিপোর্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আনা হয়। সেই খাম খুলতেই জমা পড়া নথির ছত্রে ছত্রে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা দেখা গিয়েছে।

কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ, ‘হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কোনও প্রশাসনিক কর্তা বা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মুখ খুলতে দেখা যায়নি। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের জীবনের অধিকার, বাক্‌স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলেও রাজ্য প্রশাসনকে এই বিষয়ে নিরুত্তাপ। বাংলায় যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার পিছনে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র এবং অপরাধ জগতের আঁতাঁত রয়েছে। রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের শাসন চলছে।’

আরও পড়ুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ-শুনানি: এবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

এরপরই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু বলেন, "আমি বিরোধী দলনেতা। ডিজিপি বীরেন্দ্রকে ফোন করেছিলাম। তিনি প্রথমে আমার ফোন ধরেননি। পরে মেসেজ করলে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন। ভাবুন, ডিজিপি যদি এমন করেন তাহলে ওসি-আইসিরা কী করছেন!" শমীক বলেছেন, "আমাদের ২৯ জন কর্মী খুন হয়েছেন। মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে আমাদের। অন্য বিরোধী দলগুলি অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে তৃণমূলের লেজুড় হয়েছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Suvendu Adhikari Post Poll Violence NHRC
Advertisment