চার পুরনিগমের ভোটে সবুজ ঝড় উঠিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমবার দখলে এসেছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পুরনিগম। বাম জমানার পতনের নেপথ্য কারিগর গৌতম দেবকে পুরস্কারও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে শিলিগুড়ির মেয়র বেছে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাকি তিন পুরনিগমে কে হবেন মেয়র, কে ডেপুটি তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার জল্পনার অবসান হল তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর।
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন আসানসোল, বিধাননগর এবং চন্দননগরে কে হবেন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র। আসানসোলে মেয়র হচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তাঁর ডেপুটি হবেন ওয়াসেমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক। দলের প্রতি আনুগত্যের দাম পেলেন বিধান উপাধ্যায়। তিনি বারাবনির বিধায়ক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতিও।
চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন বর্ষীয়ান কাউন্সিলর রাম চক্রবর্তী। আপাতত চন্দননগরে ডেপুটি মেয়র এবং চেয়ারম্যান পদে নাম বাছাই হয়নি। তা শীঘ্রই হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। সবচেয়ে বেশি যে পুরনিগম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল এবারের ভোটে সেটা হল বিধাননগর। কে হবেন মেয়র, সব্যসাচী দত্ত নাকি কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সেই জল্পনার অবসান হল এদিন। ফিরহাদ জানালেন, মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন সাবেক বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অনীত মণ্ডল। এবং চেয়ারম্যান হচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ম্যান’ অভিষেকই, সংগঠনে আর কোন পদে কে?
একসময়ে চেয়ারপার্সন ছিলেন কৃষ্ণা। মেয়র ছিলেন সব্যসাচী দত্ত এবং ডেপুটি ছিলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাপস অবশ্য এবার টিকিট পাননি। তাঁর মেয়েকে টিকিট দেয় দল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ঘরওয়াপসির পর অনেকেই ভেবেছিলেন ভোটে জিতলে মেয়র হতে পারেন সব্যসাচী। ফল ঘোষণার দিন কৃষ্ণা এবং সব্যসাচী দুজনই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। পোশাকি ভাষায়, দিদির আশীর্বাদ নিতে। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল মমতার মন বোঝা। কাকে মেয়রের কুর্সিতে বসাবেন তিনি তা নিয়ে উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছিলেন সবাই। অবশেষে দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী কৃষ্ণার উপরই স্নেহবর্ষণ করলেন নেত্রী। তাঁকেই বিধাননগরের মেয়রের কুর্সিতে বসাচ্ছেন মমতা। সব্যসাচীকে চেয়ারম্যআন হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছএ। মাঝখান থেকে বাড়তি পাওনা অনিতা মণ্ডলের, তিনি এবার ডেপুটি হচ্ছেন কৃষ্ণার।